সোমবার চলে গেলেন ভারতীয় কার্ডিওলজির গডমাদার ডাক্তার শিবরামাকৃষ্ণা আইয়ার পদ্মাবতী (Dr Sivaramakrishna Iyer Padmavati)। ১০৩ বছরের এই প্রথিতযশা চিকিৎসকও গত ১১ দিন ধরে মারণ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল তাঁরই প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল দিল্লির ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে।
ক্যাটাগরি মণিকোঠা
COVID-19 Outbreak In Timbuktu: পৃথিবীর শেষপ্রান্ত টিম্বাকটুতে এবার করোনাভাইরাসের থাবা
আজ পশ্চিম আফ্রিকার এক রহস্যময় শহরের কথা বলব, যার নাম টিম্বাকটু। এবার এই টিম্বাকটুতেও পৌঁছে গেল করোনাভাইরাস (COVID-19)। পৃথিবীর একেবারে শেষপ্রান্তের এই টিম্বাকটুতে ঝড় শুরু হলে সাহারা মরুভূমি থেকে উড়ে আসে বালি।
Rituparno Ghosh: ঋতুপর্ণ ঘোষ ও এক ঋতু-ময় চিত্রকল্প
ঋতুপর্ণ (Rituparno Ghosh) নেই, দেখতে দেখতে সাতটা বছর। ৩০ মে দিনটা যখন বছর ঘুরে আসে, তখনও হিসেব কষি। আসলে মনকে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার জাঙ্ক জুয়েলারি থেকে শখের স্কার্ফ, যেটা মাঝে মাঝে মাথাতেও পাগড়ির কায়দায় বাঁধার চেষ্টা করি। সবেতেই মিশে আছে আমার ঋতুপর্ণ।
Sonajharia Minz: ঝাড়খণ্ডের সোনাঝরিয়া মিনজ এখন স্বাধীন ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা উপাচার্য
ভারতে এই প্রথম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হলেন আদিবাসী মহিলা শিক্ষাবিদ সোনাঝরিয়া মিনজ Sonajharia Minz। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপিকা সোনাঝরিয়া মিনজ এখন ঝাড়খণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
ওল্ড সেমেট্রি ও দার্জিলিংয়ের ইতিকথা
দার্জিলিং বাঙালির আবেগ। তবে দার্জিলিং বলতে শুধু টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ নয়। সকাল বিকেল গ্লেনারিজ, কেভেন্তাস, জোহি’জ পাব আর সেভেনপয়েন্ট সাইটসিনও নয়। তার বাইরেও আছে শহরের এক অন্য পরিচয়। পাহাড়ি পাইনবনে ভেসে বেড়ানো উড়ুক্কু কাঠবিড়ালির দার্জিলিং, মাকড়সার জালে স্ফটিক দানার মতো জমে থাকা শিশিরের দার্জিলিং, দাঁড়কাক উড়ে বেড়ানো হালকা শীতের কার্নিশের দার্জিলিং। জানালা খুলে দিলে মেঘ ঢুকে পড়া দার্জিলিং।
করোনাভাইরাস মানুষের কৃতকর্মের ফল, নাকি সভ্যতার অভিশাপ?
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, এই শব্দবন্ধ কানে আসতেই মানবমনে ভেসে ওঠে হাজারো ছবি। বিশ্বলোকের সমস্ত রহস্যকে ঘিরেই যেন তার অবস্থান। রাতের আকাশের দিকে তাকালে দেখবেন কেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো আটকে আছে চোখ। মনের রকেট তখন এক নক্ষত্র থেকে আর এক নক্ষত্রে ছুটে চলেছে। গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহানুপুঞ্জ, সে এক মহা সমারোহ। এই রহস্যলোকের এক সদস্যই আমার আপনার জীবনের আধার, নাম তার পৃথিবী। বিস্ময়াবিষ্ট চোখ ততক্ষণে নিজেকে সইয়ে নিয়েছে। পৃথিবী আহুতি দিচ্ছে, তার গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসছে গলিত লাভা। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে তাকে অভ্যর্থনা ভাবতেই পারি অথবা প্রকৃতির রুদ্র রূপের হুঁশিয়ারি ভাবলেও অত্যুক্তি হবে না।
পৃথিবী কবে সুস্থ হবে? এই বৈশাখে স্বপ্ন দেখি…
অনেকদিন পর ফের চিঠি লিখতে বসেছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইতিহাস বইয়ের পাতায় পড়েছি। তারপরও যুদ্ধ হয়েছে। কখনও দেশ দখলের লড়াই কখনও ক্ষমতা দখলের লড়াই। দুর্বলের উপরে সবলের অত্যাচার দেখতে দেখতেই শৈশব থেকে পেরিয়েছে কৈশোর। যৌবনেও দেখেছি যুদ্ধ। সন্ত্রাসবাদের কালোছায়া আমাদের সর্বদা ঘিরে রাখে। আতঙ্কের প্রহর গুনি নিশিদিন। এই বোধহয় কেউ ব্যাগভর্তি আইইডি রেখে গেল বাসের সিটের নিচে। বড়সড় মেলায় যেতেও আজকাল বেশ ভয় করে। কী জানি বাবা, যদি বোমায় উড়ে যাই।
দোল বনাম হোলির বিড়ম্বনা, কোন রঙে ফিরছে মন?
হোলিতে মেতে উঠেছে বাঙালি। শুধু বাঙালিই বা বলি কেন রঙের উৎসবে বর্ণিল গোটা ভারতবর্ষ। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে হোলি আবারি কি, দোল বলুন না। বাঙালির প্রিয় বসন্ত উৎসব তো কবিগুরুর হাত ধরেই এসেছে, তার আগে লোকজন দোল খেলত। বিভিন্ন ভাষাভাষির দেশ ভারতে দোলের রীতি রেওয়াজও বর্ণময়। তাই অবাঙালিরা আজকের দিনে হোলিতে মেতে ওঠেন। অন্যদিকে মায়াপুরের দোল কিন্তু পুরোপুরি ধর্ম কেন্দ্রিক। শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব আবার অনেকটা মিলন মেলার মতো। স্থান ভেদে দোলের রূপ বৈশিষ্ট সবই বদলেছে। তবে আক্ষরিক অর্থটা একই থেকে গিয়েছে। এই ডামাডোলের বাজের এক মুঠো রং যদি খুশি আনে, ক্ষতি কি!
বিশ্বের প্রথম! মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন চালু হল এই দেশে
ঋতুমতি হওয়াটাও মহিলাদের কাছে যেন অভিশাপের মতো। শুধু তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভারতে এই সমস্যা, এমনটা ভাববেন না। প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশ ইউরোপেও পিরিয়ডের সময় প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন জোগাড় করা মহিলাদের কাছে দুঃসহ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এটা কোনও অতীতের গল্প বলছি না, একেবারে বর্তমান। যে দেশের মহিলারা মহাকাশে দিন কাটিয়ে এসেছেন, আর সেদেশের মহিলারাই স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে পারছেন না। আসলে সব স্তরের মহিলাদের সাধ্যের মধ্যে নেই স্যানিটারি ন্যাপকিন।
বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃ্ত্যু হয়েছে, বিশ্বাস করতেন কৃষ্ণা বসু
কৃষ্ণা বসুর চলে যাওয়া যেন স্বজন হারানোর মতো বিষয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তো আমাদের স্বজনই ছিলেন। আগামীর ভারতকে সুরক্ষিত রাখতে ইংরেজের বুলেটের সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। হাতে অস্ত্র দূরে যাক বুকে তখন অসম সাহস যা অনুভব করা যায়। গায়ে হয়তো খাদির হাফ ফতুয়া বা পাঞ্জাবি। সেসব কেমন স্বপ্নের মতো মনে হয়। আসলে কৃষ্ণা বসু যদি আলোচ্য হন তাহলে এসব কথা এসেই পড়বে। চোখের সামনে বার বার ভেসে উঠছে, সেই হাসি মুখ। অশীতিপর শরীরেও ফুটে বেরতো প্রবল ব্যক্তিত্ব। লেখিকা কৃষ্ণা বসু দারুণ বলিষ্ঠ। কাকা শ্বশুর প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়েও লিখেছেন তিনি। সুভাষচন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী এমিলিয়ে শেঙ্কেল দুজনকে নিয়েই লিখলেন বই। চারবছর আগে বাংলা ও ইংরেজি ভাষাতে প্রকাশিত হয়েছে, নাম ‘এমিলিয়ে ও সুভাষ’।