শরৎ এলেই কানে আসে ঢাকের বাদ্যি৷ দুর্গা মায়ের (Durga Puja ) আগমনী ডাক। ধর্মতত্ত্বের আঙিনা ছাড়িয়ে সেই কতকাল আগেই বঙ্গজীবনের সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে এই দুর্গাপুজো।
Tag: Kolkata
শুক্রবারেই তালা? অতীত হয়ে গেল সুভাষচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত সিনেমা হল
শুক্রবার মানেই বক্সঅফিসে নতুন ছবি, সিনেমা পাড়ায় তোরজোর। হলের সামনেও দর্শকদের উঁকিঝুঁকি, কী পোস্টার পড়ল, কটার শো, এমনই কত কি। তবে রক্সির তাতে হেলদোল নেই। আজ থেকে আর খুলবে না ধর্মতলার শতাব্দী প্রাচীন সিনেমা হল রক্সি। আধুনিকতার গ্রাসে সিঙ্গল স্ক্রিন রক্সিও ইতিহাস হয়ে গেল। আজ শুক্রবার, একটা সময় নতুন ছবি দেখার জন্য কলেজের ছেলেমেয়েদের জটলা থাকত রক্সির সামনে।
বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃ্ত্যু হয়েছে, বিশ্বাস করতেন কৃষ্ণা বসু
কৃষ্ণা বসুর চলে যাওয়া যেন স্বজন হারানোর মতো বিষয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তো আমাদের স্বজনই ছিলেন। আগামীর ভারতকে সুরক্ষিত রাখতে ইংরেজের বুলেটের সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। হাতে অস্ত্র দূরে যাক বুকে তখন অসম সাহস যা অনুভব করা যায়। গায়ে হয়তো খাদির হাফ ফতুয়া বা পাঞ্জাবি। সেসব কেমন স্বপ্নের মতো মনে হয়। আসলে কৃষ্ণা বসু যদি আলোচ্য হন তাহলে এসব কথা এসেই পড়বে। চোখের সামনে বার বার ভেসে উঠছে, সেই হাসি মুখ। অশীতিপর শরীরেও ফুটে বেরতো প্রবল ব্যক্তিত্ব। লেখিকা কৃষ্ণা বসু দারুণ বলিষ্ঠ। কাকা শ্বশুর প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়েও লিখেছেন তিনি। সুভাষচন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী এমিলিয়ে শেঙ্কেল দুজনকে নিয়েই লিখলেন বই। চারবছর আগে বাংলা ও ইংরেজি ভাষাতে প্রকাশিত হয়েছে, নাম ‘এমিলিয়ে ও সুভাষ’।
এলগিন রোডের বসুবাড়িতে বিষন্নতার সুর, প্রয়াত কৃষ্ণা বসু
ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে কলকাতার বসুবাড়ির অবদান অনস্বীকার্য। শুধু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই নন, মেজদাদা শরৎচন্দ্র বসু বাঙালির গর্ব। পারিবারিক কারণে সামনে থেকে বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ না দিলেও ছোটভাই সুভাষকে সবসময় দেশের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে গিয়েছেন। একেবারে ফাদার ফিগার বলতে যা বোঝায় শরৎচন্দ্র বসু নেতাজির কাছে তাইই ছিলেন। কৈশোর যৌবনে দাদা শরৎ বসুর সহযোগিতা পেয়েছেন। আর যেসময় ব্রিটিশ রাজের চোখে ভয়ঙ্কর প্রতিপন্ন হয়ে গেলেন সেই সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করেন আদরের ভাইপো শিশির বসু। মেজদাদা শরৎচন্দ্র বসুর ছেলে। এলগিন রোডের বাড়িতে ব্রিটিশ পুলিশ নেতাজিকে নজরবন্দি করে রেখেছিল, এ তথ্য আজ সকলেরই জানা। সেই নজরবন্দি অবস্থাতেই একদিন উধাও হয়ে গেলেন সুভাষ বসু। সৌজন্যে ভাইপো শিশির বসু। কাকাকে ব্রিটিশ পুলিশের রাঙা চোখ এড়িয়ে নিরাপদ দূরত্বে সেদিন পৌঁছে দিয়েছিলেন শিশির বসু।
স্মৃতিটুকু থাক…
মন খারাপের কোনও নির্দিষ্ট দিন হয় না, মুহূর্ত হয়। কখন সে হানা দেবে আগের থেকে বোঝা বড় মুশকিল। হাসিখুশি দিলদরিয়া সাহেবের এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। যাঁরা ‘চন্দননগরের মাল’ বলে তাঁকে নিয়ত উপহাস করেছেন, কোথাও গিয়ে তাঁদেরও আজ কষ্ট হচ্ছে। তাপস পাল শহুরে যুবকের নয়, বাংলার হিরো। একটা মাত্র দুর্বাক্য কেদার চাটুজ্জের প্রতি বাঙালির চোরা টানকে ঘৃণায় পরিণত করেছিল। কতটা পরিশিলীত অভিনয় তানিয়ে আলোচনা প্রায় বন্ধ। সবাই তখন তাঁর মণ্ডুপাত করে চলেছেন। আসলে আবেগ তো বাঙালির সম্বল, সেখানে পড়েছে খোঁচা। মধ্যবিত্তের ভীরু প্রেমের নায়ক কিনা অশালীন হুমকি দিচ্ছেন।
মায়ের জন্মদিনে সুরেলা সন্ধ্যা, কথায় গানে বৈঠকী আড্ডায় আরজে শ্রী
বসন্ত মানেই প্রেমের যাপন। আর এই প্রেম তো শুধু দুটি মানুষের মধ্যে হতে পারে না। সময় বিশেষে প্রেমের ধরণ বদলায়। আমার প্রিয় দক্ষিণের জানলা যেমন, দাদুর বাড়িতে বেড়াতে গেলেই মনে হত প্রেমিকার কাছে চলেছি। আমার সবটুকু ভালবাসা দখল করেছিল ওই জানলা। ফাগুন এলেই কৃষ্ণচুড়া একেবারে সেজেগুজে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত। জানলার বাইরেই তার অবস্থান। বাগানের গাছাগাছালির মাঝে একেবারে লাল টুকটুকে রাঙাবউ। এ-তো প্রেম। মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসা বিশ্বজনীন। মা-মানেই আঁচলে হলুদের দাগ, মা মানেই ভরসার কোল। যেখানে মাথা রাখলে দুঃখও বলে, তোকে ছুটি দিলাম। মা আবার দেশের মাটিও। যার টানে নির্ভাবনায় জীবন দিতে তৈরি হয়ে যা বিপ্লবী ছেলেরা। মায়ের শিকল বাঁধা পা দেখতে কেই বা চায় বলুন। সেই মায়ের জন্মদিনেই গানে কথায় বৈঠকী আড্ডা।
এ যেন জমিদারবাড়ি, রিয়েলটেকের প্রকল্পে রাজারহাটে এবার ফেডারেল ব্যাংক
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে রিয়েলটেক নির্মাণ প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের প্রতিটি প্রকল্পই দারুণভাবে সফল, একথা বলতেই হবে। এবার রিয়েলটেকে প্রকল্পের জমিতেই তৈরি হল ফেডারেল ব্যাংকের শাখা। রাজারহাটে ফেডারেল ব্যাংক তার ১৮-তম শাখাটি খুলেছে রিয়েলটেক-এর নয়া প্রকল্প চৌরাস্তার জমিদারি-তে। হ্যাঁ জমিদারিই বটে, কেননা ব্যাংক যদি আদ্যপান্ত জমিদারবাড়ি হয়, তাতে তো কোনও ক্ষতি নেই। বরং বেশ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। শহর কলকাতায় ফেডারেল ব্যাংক কোনও নতুন নাম নয়, তবে এর পরিষেবা যিনি একবার গ্রহণ করেছেন, তাঁর কাছে ফেডারেল ব্যাংকের থেকে প্রিয় কিছুই হতে পারে না। এনআরআই বাঙালির আত্মজন এই ফেডারেল ব্যাংক। আর রাজারহাট শাখাটি তো হবহু ব্যাংক নয় একেবারে খানদানি জমিদারবাড়ি। মনই চাইবে একবার ঢুকে পড়ি। চলুন দেখে আসি, ফেডারেল ব্যাংকের এই শাখায় ঠিক কি কি সুবিধা থাকছে।