মন খারাপের কোনও নির্দিষ্ট দিন হয় না, মুহূর্ত হয়। কখন সে হানা দেবে আগের থেকে বোঝা বড় মুশকিল। হাসিখুশি দিলদরিয়া সাহেবের এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। যাঁরা ‘চন্দননগরের মাল’ বলে তাঁকে নিয়ত উপহাস করেছেন, কোথাও গিয়ে তাঁদেরও আজ কষ্ট হচ্ছে। তাপস পাল শহুরে যুবকের নয়, বাংলার হিরো। একটা মাত্র দুর্বাক্য কেদার চাটুজ্জের প্রতি বাঙালির চোরা টানকে ঘৃণায় পরিণত করেছিল। কতটা পরিশিলীত অভিনয় তানিয়ে আলোচনা প্রায় বন্ধ। সবাই তখন তাঁর মণ্ডুপাত করে চলেছেন। আসলে আবেগ তো বাঙালির সম্বল, সেখানে পড়েছে খোঁচা। মধ্যবিত্তের ভীরু প্রেমের নায়ক কিনা অশালীন হুমকি দিচ্ছেন।
ট্যাগ Bengali Cinema
মধ্যবিত্ত বাঙালির ভীরু প্রেমের নায়ক, জীবননাট্যের শেষ অংকে মহুয়ার দেশে তাপস পাল
১৯৫৮-র ২৯ সেপ্টেম্বর যে যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ অর্থাৎ ২০২০-র ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোট তিনটে বেজে ৩৫ মিনিটে তার যবনিকা পড়ল। ভরা বসন্তে চলে গেলেন আটের দশকের বাঙালি মধ্যবিত্তের ভিরু প্রেমের নায়ক তাপস পাল। ভিরু প্রেমই তো বলতে হবে, এমন সাদামাটা চেহারা, ঠোঁটের উপরে সদ্য গজানো গোঁফ নিয়ে আর কেই বা সদর্পে প্রেম করতে পেরেছে। সেই সময়কার হার্টথ্রব নায়িকা মহুয়ার বিপরীতে নায়ক হয়েছেন। যে মহুয়ার এক চাহনিতেই বাংলার তরুণ সমাজ প্রেমের নতুন ভাষা পড়তে শিখেছিল। মাসল নেই, নেই মাচো চেহারা। না ছিল ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড। তারপরেও চন্দননগরের নিপাট ভালমানুষ চেহারার তাপস পাল কিন্তু কলকাতার একসে বরকর এক যুবকদের হারিয়ে অডিশনেই তরুণ মজুমদারের মন জিতে নিলেন।