stay home

করোনাভাইরাস মানুষের কৃতকর্মের ফল, নাকি সভ্যতার অভিশাপ?

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, এই শব্দবন্ধ কানে আসতেই মানবমনে ভেসে ওঠে হাজারো ছবি। বিশ্বলোকের সমস্ত রহস্যকে ঘিরেই যেন তার অবস্থান। রাতের আকাশের দিকে তাকালে দেখবেন কেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো আটকে আছে চোখ। মনের রকেট তখন এক নক্ষত্র থেকে আর এক নক্ষত্রে ছুটে চলেছে। গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহানুপুঞ্জ, সে এক মহা সমারোহ। এই রহস্যলোকের এক সদস্যই আমার আপনার জীবনের আধার, নাম তার পৃথিবী। বিস্ময়াবিষ্ট চোখ ততক্ষণে নিজেকে সইয়ে নিয়েছে। পৃথিবী আহুতি দিচ্ছে, তার গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসছে গলিত লাভা। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে তাকে অভ্যর্থনা ভাবতেই পারি অথবা প্রকৃতির রুদ্র রূপের হুঁশিয়ারি ভাবলেও অত্যুক্তি হবে না।

Bengali New Year

পৃথিবী কবে সুস্থ হবে? এই বৈশাখে স্বপ্ন দেখি…

অনেকদিন পর ফের চিঠি লিখতে বসেছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইতিহাস বইয়ের পাতায় পড়েছি। তারপরও যুদ্ধ হয়েছে। কখনও দেশ দখলের লড়াই কখনও ক্ষমতা দখলের লড়াই। দুর্বলের উপরে সবলের অত্যাচার দেখতে দেখতেই শৈশব থেকে পেরিয়েছে কৈশোর। যৌবনেও দেখেছি যুদ্ধ। সন্ত্রাসবাদের কালোছায়া আমাদের সর্বদা ঘিরে রাখে। আতঙ্কের প্রহর গুনি নিশিদিন। এই বোধহয় কেউ ব্যাগভর্তি আইইডি রেখে গেল বাসের সিটের নিচে। বড়সড় মেলায় যেতেও আজকাল বেশ ভয় করে। কী জানি বাবা, যদি বোমায় উড়ে যাই।

Bengali New Year

স্মৃতির সরণি বেয়ে পয়লা বৈশাখ

তোকে ছুঁতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই ঝরে যাচ্ছে বসন্ত। একে কি অকাল বসন্ত বলব?  সে যা হোক কিছু একটা ভেবেই নিস। মনের মতো ব্যাখ্যা সাজিয়ে রাখিস তোর বছর পয়লার খেড়োর খাতায়। তবে খেড়োর বাহুল্যে বদল আনিস না যেন। এখন তো তোর আমার মাঝে সম্প্রীতির বেড়াজাল উঠেছে। কালের স্রোতে ভেসে গিয়ে খেড়োর খাতা যেন গৈরিক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখিস। আচ্ছা হালখাতার সঙ্গে তোর চিরকালীন বৈরীতা ঘুঁচলো?  নাকি সদরে তালা ঝুলিয়ে তাকে জবাব দিয়েছিস?  গাজনের মেলায় গিয়ে ধরম ঠাকুরের থানে কিছু চাইলি কি আমার জন্য ?  থাক এসব বলে তোকে আর বিব্রত করব না। আসমানি রঙা পাঞ্জাবিটা পরিস না। ওটায় বড় ন্যাপথেলিনের গন্ধ। সকাল সকাল হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কেতা আমায় দেখাতে হবে না। ওটা তোর শহুরে স্বজনের জন্য তুলে রাখ। পাট ভাঙা পাঞ্জাবি পরে, এক খিলি মিঠে পান মুখে দিয়ে পারলে একটা চিঠি লিখিস। চিঠিটা যেন মিঠেকথাতেই পূর্ণ থাকে। চিন্তা করিস না, চিঠি যদি ভারতীয় ডাক বিভাগের কল্যাণে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে এসেও পৌঁছায়, তাতে ক্ষতি নেই। বৃষ্টি দেখতে দেখতে না হয় তোর বৈশাখী চিঠিখানা খুলে বসব।

Akshay Kumar

“বিরক্ত লাগছে লকডাউনের অর্থ বুঝছে না মানুষ, দয়া করে বাইরে বেরিয়ে বিপদ ডাকবেন না” __ভিডিওতে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অক্ষয় কুমার

করোনাভাইরাসে চোখে অন্ধকার দেখছে গোটা বিশ্ব। ভারতের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। এই মুহূর্তে চিল করার মুডে নেই বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। রবিবার জনতা কার্ফিউ ওঠার পরে কী করে সাধারণ মানুষ এভাবে রাস্তায় বেরিয়ে কাঁসর ঘণ্টা বাজালো। তানিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন খিলাড়ি কুমার। কার্ফিউর দুদিন পরেও অনেকেই লকডাউনকে সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না। লোকের যেভাবে রাস্তায় ঘুরছে যেন সবাই করোনাভাইরাস প্রুফ। তারা মারণ রোগের কবলে পড়েব না।

Rajinikanth

করোনাভাইরাসে লকডাউন দেশ, প্রোডাকশনকর্মীদের সাহায্যার্থে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত

করোনার ত্রাসে কাঁপছে দেশ। সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ সবকিছুই। বাদ যায়নি সিনেমাপাড়াও। শুটিং বন্ধ হতেই প্রোডাকশন কর্মীদের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সিনেমার শুটিং স্থগিত হয়ে গিয়েছে। নিত্যদিনের রোজগার বন্ধ হওয়ায় বেশ বিপাকে প্রোডাকশনের সাধারণ কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ প্রোডাকশন কর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন রজনীকান্ত।

Kerala Police Dancing

মারণ রোগ করোনাভাইরাসকে রুখতে কীভাবে সতর্ক হবেন? নেচে দেখালেন পুলিশকর্মীরা (দেখুন ভিডিও)

করোনা ত্রস্ত গোটা দেশ। সবাই কেমন আতঙ্কগ্রস্তের মতো প্রহর গুনছে। এই বোধহয় কিছু হয়ে গেল। রাস্তাঘাটে পথচারীর হাঁচির শব্দে ঘুরে তাকাচ্ছ। কেমন যেন সন্দেহের নজর। না গুলিগোলা নয়, নাশকতাও নয়। চোখে দেখা যায় না এমন একটা ভাইরাস, তার কামড়েই দিশেহারা গোটা বিশ্ব। চিন তো আগেই ঘায়েল। মার্কিন মুলুকে ছড়িয়েছে ত্রাস। ইতালি, ইরানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বিলেতে। ভারতেও ঢুকে পড়েছে মারণ ভাইরাস।

Amitabh Bachchan

করোনাভাইরাস রুখতে গৃহবন্দি অমিতাভ বচ্চন, সেলফ কোয়ারেন্টাইডের ছাপ মারা হাত রাখলেন টুইটারে

মারণ ভাইরাস রোধে সচেতনতা বাড়াতে প্রথমে কবিতা লিখেছিলেন। টুইট বার্তায় ভক্তদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন সে খবর। এবার কবিতা নয়ষ একেবারে স্ট্যাম্প বানিয়ে হাতে ছাপ দিয়ে সেলফ কোয়ারেন্টাইনের নিদর্শন রাখলেন বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন। করোনাভাইরাসে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এই মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগের কাছে অসহায় মানুষ। মার্কিন মুলুক, সমগ্র ইউরোপ মহাদেশ, আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য কেউই এখনও দিশা খুঁজে পায়নি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা। ভারতে এই মুহূর্তে আক্রান্ত ১৫০ জন। যার মধ্যে ২০ জন আবার বিদেশি। কলকাতাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নবান্নর এক আমলার পুত্রের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে।

Rathindranath Tagore

“রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন শান্তিনিকেতনের দুয়োরানি”

শান্তিনিকেতনে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন এক ভাগ্যবিড়ম্বিত নাম। যাকে গড়তে গিয়ে গোটা জীবনটা ব্যয় করলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে সেখানে তাঁর ঠাঁই হল না। দূর থেকে খবর নিতেন, গুরুদেবের জন্মজয়ন্তী কেমনভাবে পালিত হচ্ছে। কেমন আছে সাধের বিশ্বভারতী। আজও বছর ঘুরে সেই মানুষটার জন্মদিন আসে। নীরবে চলে যায়, আশ্রমে রথীঠাকুরের জন্মদিন নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান হতে দেখিনি। মন্দির থাকলেও তাঁর জন্য একটা বাক্য সেখানে খরচ হয় না। সেই রথীঠাকুরকে নিয়েই bongmag.com এর আলপাচারিতায় বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক সমীরণ নন্দী।

Roxy

শুক্রবারেই তালা? অতীত হয়ে গেল সুভাষচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত সিনেমা হল

শুক্রবার মানেই বক্সঅফিসে নতুন ছবি, সিনেমা পাড়ায় তোরজোর। হলের সামনেও দর্শকদের উঁকিঝুঁকি, কী পোস্টার পড়ল, কটার শো, এমনই কত কি। তবে রক্সির তাতে হেলদোল নেই। আজ থেকে আর খুলবে না ধর্মতলার শতাব্দী প্রাচীন সিনেমা হল রক্সি। আধুনিকতার গ্রাসে সিঙ্গল স্ক্রিন রক্সিও ইতিহাস হয়ে গেল। আজ শুক্রবার, একটা সময় নতুন ছবি দেখার জন্য কলেজের ছেলেমেয়েদের জটলা থাকত রক্সির সামনে।

Santu Mukherjee

৬৯-এই পূর্ণচ্ছেদ! না ফেরার দেশে বাংলা ছবির ‘রাজা’

সন্ধ্যা হয়েছে সবে। গৃহস্থবাড়ি থেকে ভেসে আসছে শাঁখের আওয়াজ। রায়গিন্নির অনেক দিন পর এই অসময়ে চোখে জল এল। বেশ ছিল দিনগুলো। বাইরে অন্ধকার নামতেই সাত তাড়াতাড়ি রান্না সেরে নিয়ে টিভির সামনে চলে আসা। এখনকার মতো তো এতগুলো টিভি চ্যানেলের হুড়োহুড়ি ছিল না। তখন একমাত্র শিবরাত্রির সলতে ডিডি বাংলা। আর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু জন্মভূমি ধারাবাহিক। আকর্ষণীয় চরিত্র অবশ্যই জমিদার রতিকান্ত চৌধুরি। সেই সময় সবে বড়পর্দা ছেড়ে ছোটপর্দায় প্রবেশ করছেন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়। আজ কত ধারাবাহিক, কত নাম, কিন্তু জন্মভূমি আর দ্বিতীয়টা হল না। রতিকান্ত থেকে গেলেন বাঙালি দর্শকের মনে।