Darjeeling

ওল্ড সেমেট্রি ও দার্জিলিংয়ের ইতিকথা

দার্জিলিং বাঙালির আবেগ। তবে দার্জিলিং বলতে শুধু টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ নয়। সকাল বিকেল গ্লেনারিজ, কেভেন্তাস, জোহি’জ পাব আর সেভেনপয়েন্ট সাইটসিনও নয়। তার বাইরেও আছে শহরের এক অন্য পরিচয়। পাহাড়ি পাইনবনে ভেসে বেড়ানো উড়ুক্কু কাঠবিড়ালির দার্জিলিং, মাকড়সার জালে স্ফটিক দানার মতো জমে থাকা শিশিরের দার্জিলিং, দাঁড়কাক উড়ে বেড়ানো হালকা শীতের কার্নিশের দার্জিলিং। জানালা খুলে দিলে মেঘ ঢুকে পড়া দার্জিলিং।

Bengali New Year

স্মৃতির সরণি বেয়ে পয়লা বৈশাখ

তোকে ছুঁতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই ঝরে যাচ্ছে বসন্ত। একে কি অকাল বসন্ত বলব?  সে যা হোক কিছু একটা ভেবেই নিস। মনের মতো ব্যাখ্যা সাজিয়ে রাখিস তোর বছর পয়লার খেড়োর খাতায়। তবে খেড়োর বাহুল্যে বদল আনিস না যেন। এখন তো তোর আমার মাঝে সম্প্রীতির বেড়াজাল উঠেছে। কালের স্রোতে ভেসে গিয়ে খেড়োর খাতা যেন গৈরিক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখিস। আচ্ছা হালখাতার সঙ্গে তোর চিরকালীন বৈরীতা ঘুঁচলো?  নাকি সদরে তালা ঝুলিয়ে তাকে জবাব দিয়েছিস?  গাজনের মেলায় গিয়ে ধরম ঠাকুরের থানে কিছু চাইলি কি আমার জন্য ?  থাক এসব বলে তোকে আর বিব্রত করব না। আসমানি রঙা পাঞ্জাবিটা পরিস না। ওটায় বড় ন্যাপথেলিনের গন্ধ। সকাল সকাল হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কেতা আমায় দেখাতে হবে না। ওটা তোর শহুরে স্বজনের জন্য তুলে রাখ। পাট ভাঙা পাঞ্জাবি পরে, এক খিলি মিঠে পান মুখে দিয়ে পারলে একটা চিঠি লিখিস। চিঠিটা যেন মিঠেকথাতেই পূর্ণ থাকে। চিন্তা করিস না, চিঠি যদি ভারতীয় ডাক বিভাগের কল্যাণে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে এসেও পৌঁছায়, তাতে ক্ষতি নেই। বৃষ্টি দেখতে দেখতে না হয় তোর বৈশাখী চিঠিখানা খুলে বসব।

Kerala Police Dancing

মারণ রোগ করোনাভাইরাসকে রুখতে কীভাবে সতর্ক হবেন? নেচে দেখালেন পুলিশকর্মীরা (দেখুন ভিডিও)

করোনা ত্রস্ত গোটা দেশ। সবাই কেমন আতঙ্কগ্রস্তের মতো প্রহর গুনছে। এই বোধহয় কিছু হয়ে গেল। রাস্তাঘাটে পথচারীর হাঁচির শব্দে ঘুরে তাকাচ্ছ। কেমন যেন সন্দেহের নজর। না গুলিগোলা নয়, নাশকতাও নয়। চোখে দেখা যায় না এমন একটা ভাইরাস, তার কামড়েই দিশেহারা গোটা বিশ্ব। চিন তো আগেই ঘায়েল। মার্কিন মুলুকে ছড়িয়েছে ত্রাস। ইতালি, ইরানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বিলেতে। ভারতেও ঢুকে পড়েছে মারণ ভাইরাস।

Amitabh Bachchan

করোনাভাইরাস রুখতে গৃহবন্দি অমিতাভ বচ্চন, সেলফ কোয়ারেন্টাইডের ছাপ মারা হাত রাখলেন টুইটারে

মারণ ভাইরাস রোধে সচেতনতা বাড়াতে প্রথমে কবিতা লিখেছিলেন। টুইট বার্তায় ভক্তদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন সে খবর। এবার কবিতা নয়ষ একেবারে স্ট্যাম্প বানিয়ে হাতে ছাপ দিয়ে সেলফ কোয়ারেন্টাইনের নিদর্শন রাখলেন বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন। করোনাভাইরাসে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এই মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগের কাছে অসহায় মানুষ। মার্কিন মুলুক, সমগ্র ইউরোপ মহাদেশ, আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য কেউই এখনও দিশা খুঁজে পায়নি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা। ভারতে এই মুহূর্তে আক্রান্ত ১৫০ জন। যার মধ্যে ২০ জন আবার বিদেশি। কলকাতাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নবান্নর এক আমলার পুত্রের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে।

Rathindranath Tagore

“রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন শান্তিনিকেতনের দুয়োরানি”

শান্তিনিকেতনে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন এক ভাগ্যবিড়ম্বিত নাম। যাকে গড়তে গিয়ে গোটা জীবনটা ব্যয় করলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে সেখানে তাঁর ঠাঁই হল না। দূর থেকে খবর নিতেন, গুরুদেবের জন্মজয়ন্তী কেমনভাবে পালিত হচ্ছে। কেমন আছে সাধের বিশ্বভারতী। আজও বছর ঘুরে সেই মানুষটার জন্মদিন আসে। নীরবে চলে যায়, আশ্রমে রথীঠাকুরের জন্মদিন নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান হতে দেখিনি। মন্দির থাকলেও তাঁর জন্য একটা বাক্য সেখানে খরচ হয় না। সেই রথীঠাকুরকে নিয়েই bongmag.com এর আলপাচারিতায় বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক সমীরণ নন্দী।

Santu Mukherjee

৬৯-এই পূর্ণচ্ছেদ! না ফেরার দেশে বাংলা ছবির ‘রাজা’

সন্ধ্যা হয়েছে সবে। গৃহস্থবাড়ি থেকে ভেসে আসছে শাঁখের আওয়াজ। রায়গিন্নির অনেক দিন পর এই অসময়ে চোখে জল এল। বেশ ছিল দিনগুলো। বাইরে অন্ধকার নামতেই সাত তাড়াতাড়ি রান্না সেরে নিয়ে টিভির সামনে চলে আসা। এখনকার মতো তো এতগুলো টিভি চ্যানেলের হুড়োহুড়ি ছিল না। তখন একমাত্র শিবরাত্রির সলতে ডিডি বাংলা। আর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু জন্মভূমি ধারাবাহিক। আকর্ষণীয় চরিত্র অবশ্যই জমিদার রতিকান্ত চৌধুরি। সেই সময় সবে বড়পর্দা ছেড়ে ছোটপর্দায় প্রবেশ করছেন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়। আজ কত ধারাবাহিক, কত নাম, কিন্তু জন্মভূমি আর দ্বিতীয়টা হল না। রতিকান্ত থেকে গেলেন বাঙালি দর্শকের মনে।

UPASANA GRIHO

“তিনিই মেলান, এমন প্রকৃতির পাঠশালা কোথায় পাবে শান্তিনিকেতন ছাড়া?”

শান্তিনিকেতন যেন একটা আত্মা যার মধ্যে আমি মিশে গিয়েছি। জীবনের ১৮টা বছর আসনাসোলে কাটিয়েছি। আর বাকি ১৭টা বছর শান্তিনিকেতনে। সমানই তো প্রায়, তাই না! মাঝে মাঝে যখন আশ্রমের মধ্যে হাঁটতে থাকি তখন মনে হয় আমি এখানকারই। তখন মন একটা দোটানার মাঝে থাকে। বোধহয় কোনও এক সময় ছিলাম, হয়তো বা ছিলাম না। সে স্মৃতি আর নেই। কিন্তু আজ শান্তিনিকেতনের একজন হয়ে গেছি।

khelapukur jagadhatri

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমার কাঠামো পুজো হয় দুর্গা দশমীতে, পুজোর কয়েকদিনের অনুভূতি অসামান্য

শরৎকালের আকাশ দেখতে পেলে খুশিতে মনটা ভরে ওঠে না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুস্কর। শরৎ এল মানেই কাশের দোলায় মন ভুলিয়ে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে সে আসবে। আরে তাকে তো চেনোই, আমাদের দুগ্গা মা। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে আশ্বিনের শারদ প্রাতে শোনার পর আর কাজকর্মে মন বসে না। মনে হয় সবকিছুতে তালা ঝুলিয়ে এখন শুধু মনের সুখে ঘুরে বেড়াই। ছেলেমেয়েকে সঙ্গে করে উমা এল বলে। কলকাতার দুর্গাপুজো তো বহুকাল হল মহোৎসবের আকার নিয়েছে। আর গঙ্গা পাড়ের একদা ফরাসী কলোনি চন্দননগরে? মা দুগ্গা সেই নগরে খুশির বার্তা বয়ে আনলেও আলোর বার্তার জন্য জগদ্ধাত্রীর পথ চেয়েই চন্দননগরের দিন কাটে।