উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ বিয়েবাড়ি তো কাল বন্ধুর ব্যাচেলর পার্টি। পরশুদিন আবার অফিস পিকনিক। পরের দিন ডেটিংয়ে যাওয়ার প্ল্যান। অফিস ফেরতা প্রতিদিন পার্লারে দৌড়ালে শুধু সময় নয়, ত্বকেরও হাঁফ ধরে যাবে। এক লহমায় পার্লারের হেয়ারড্রেসার হয়তো আপনার চুলকে পছন্দমতো লুকসে সেট করে দেবেন। কিন্তু এত হিট ও ড্রায়ারের ব্যবহারে চুল তার স্বাভাবিকত্ব হারিয়ে ফেলতে পারে। এখন আবার কার্লি নয় স্ট্রেইটনিংয়ের যুগ চলছে, লম্বা চুল স্ট্রেট করে নিলে বিয়েবাড়িতে এক ঢাল চুল পিঠে, শাড়ি থেকে ড্রেস, বা ল্যাহেঙ্গা সবেতেই হিট।
ক্যাটাগরি ফ্যাশন
There have not any kind of fashion definition, you can make your own fashion statement. What type of dress, makeup you can carried properly and freely that must be your own style statement, whatever it is doesn’t matter. That’s why start your signature fashion in your me way.
এই শীতে এগুলি করলে মহাবিপদ, কেন জানেন?
শীত এসেছে, উত্তুরে হাওয়া জানান দিচ্ছে তার উপস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে ত্বকের যত্ন না নিলে অচিরেই বিপদে পড়তে পারেন। শীতে ত্বকের যত্ন নিতে কত রকমের ময়শ্চারাইজার থেকে শুরু করে কোল্ড ক্রিম, আরও কত উপচার ব্যবহার করেন। সেই সঙ্গে রূপটান তো আছেই। ঠোঁটের জন্য নানারকম ফ্লেভারের লিপ বাম বাজারে রয়েছে, শুধু পছন্দমতো বেছে নেওয়ার অপেক্ষা। তবে এই ঠান্ডায় বেশ কয়েকটি কাজ ভুলেও করবেন নাষ নাহলে আপনার সযত্নে লালিত ত্বকের দফা রফা হয়ে যাবে। সেগুলি ঠিক কী কী চলুন একবার দেখে নিই।
শীতে সুন্দরী থাকতে চান? এভাবেই চটপট ত্বকের যত্ন নিয়ে নিন
শীত আসতে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। হেমন্তের বাতাসে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব| শীতের আগমনের এই সময়টাতে ত্বককে আদর যত্নে মুড়ে রাখুন। নাহলেই ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও মলিন হতে দেখা যায়| বাইরের ধুলোবালি, শীতল আবহাওয়ায় নারী-পুরুষ উভয়ের ত্বকের ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, হাত-পা ফেটে যাওয়া, ব়্যাশ দেখা দেয়| বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ হয়। তাই শীতের এই সময়টাতে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে দরকার একটু বাড়তি যত্ন ও সর্তকতা।
পুজোতে ফিট থাকতে চাইলে আজ থেকেই পাতে থাকুক টক দই
পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, এদিকে শপিং-এ গিয়ে দেদার খাওয়াদাওয়া করে ভালোই ওয়েট পুট অন করেছেন। কিন্তু পুট অন করলেই তো আর হবে না, তা কমানোর চেষ্টাও করতে হবে। নাহলে তো পুজোর স্টাইল স্টেটমেন্ট সাজগোজ ফ্যাশন সবটাই মাঠে মারা যাবে। তবে তাই বলে কী খাবেন না মনের মতো চিকেন চাঁপ, মটন কষা, ইলেশের তেল ঝাল। না না এর বেশি আর মনে করাতে চাই না। মনোকষ্টে চোখে জল চলে আসবে। তার থেকে এই ভাল, খাবার খান আবার মেনটেনও করুন। তাতে পেটে খেলে পিঠে ঠিক সহ্য হয়ে যাবে। মেদ জমিয়ে বোঝা বাড়াবে না আশাকরি।
পুজো দোরগোড়ায় তাই পার্লারে ভিড়, চিন্তা না করে রান্নাঘরেই সেরে ফেলুন রূপটান
পুজো তো এসেই গেল, এদিকে অফিসে কাজের চাপে আর রূপ চর্চার সুয়োগ করে উঠতে পারছে না তৃষা। নেহা তো রেগেমেগে আগুন। সেই কবে স্যালারি ক্রেডিট হয়েছে অথচ এখনও কেনাকাটার ফুরসতই মেলেনি। তৃষাকে ফোন করলেই সে শুধু অফিসের কাজের চাপের দোহাই দিচ্ছে। আরে বাবা পার্লারে গিয়েও তো বুক করে আসতে হবে। তারপর যখন ভিড় হয়ে যাবে, তখন তো ডেটই পাবে না। পুজোর সময় কোনও পাড়ার পার্লার নয় বাবা, নেহা তো পাঁচ তারা হোটেলের স্পার আমেজ নেওয়ার জন বছর ভর অপেক্ষা করে। সারা দিনের ক্লান্তি ঝেরে ফেলে শরীরকে ডি-টক্সিন করাও তো কম গুরুত্বের কিছু নয়। একটা কথা তো মনে রাখতেই হবে, লাইফস্টাইল মেনটেন না করলে আজকের দিনে বেশি কিছু হওয়ার নয়। সে যাই হোক বাড়িতে বসেও তো সামান্য। রূপটানের কাজ এগিয়ে রাখা যায়। চলুন একবার দেখে নিই পার্লার যাওয়ার আগে নিজেকে নিজেই কতটা ঝকঝকে করে নিতে পারেন।
পুজোয় ঝলমলে থাকতে চান, এই বেলা বিউটি ট্রিটমেন্টে রাখুন চারকোল
পুজো কিন্তু দরজায় কড়া নাড়ছে। এখন থেকে যদি মন দিয়ে ত্বক ও চুলের যত্ন না করেন, তাহলে ওই চারটি দিন নিজেকে কীভাবে বিশেষ রূপে স্থাপন করবেন বলুন তো। তাই দেরি না করে এইবেলা সাজগোজের সরঞ্জাম জোগাড় করে ফেলুন। আরে বিউটি প্রোডাক্টের কথা বলছি না, বলছি তো বিউটি ট্রিটমেন্ট। সাজবেন তো, তার আগে সাজার জায়গাটাকে তো তৈরি করতে হবে, তাই না। যেভাবে প্রতিদিন দৌড়ঝাঁপ করে অফিস করছেন, ট্রেনে বাসে মেট্রোতে ঝুলে অফিসে যাচ্ছেন গরম থেকে বাঁচতে কত রকম ব্যবস্থা করেও ভিড়ের চাপে সেসব ভুলে দিব্যি সানগ্লাস ছাড়াই হেঁটে চলে গেলেন। ছাতা মাথায় রাস্তায় হাঁটবেন পথচারীর গায়ে খোঁচা লাগছে, দূর করে ছাতাটাই বন্ধ করে দিলেন। আরে ট্যান তো আপনার গায়েই পড়বে। পথচারীর আর কী। দিলেন তো সব মাটি করে। কিন্তু পুজোর তো আর বাকি নেই, এই বেলা ত্বকের যত্ন না নিলে আর কবে করবেন এসব। চলুন কী করে বাড়িতেই ঘেমো ক্লান্ত ত্বককে একটু মুক্তি দিতে পারেন দেখে নেওয়া যাক।
চোখকে আকর্ষণীয় করতে বাড়িতেই তৈরি করুন মাসকারা, কীভাবে?
নিজেকে সাজাতে ভালবাসে না এমন লোকজন পৃথিবীতে নেই বললেই চলে। নিজেকে সাজাবেন আর চোখকে তার বাইরে রাখবেন, তাতো হয় না। প্রথমেই চোখ সাজিয়ে নিন। চোখকে সাজাতে হলে মাসকারার ভূমিকা অনন্য। আর মাসকারা তো কসমেটিক্সের স্টোর্সে চাইলেই পাবেন। কিন্ত বাজারচলতি মাসকারাতে থাকে বিভিন্ন রাসায়নিক। এতে চোখের ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল। আর যদি কারোর অ্যালার্জি থাকে তো কথাই নেই। অ্যালার্জিতেই চোখ বিপর্যস্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে কী মাসকারা পরবেন না? নিশ্চই পরবেন তবে বাড়িতে তৈরি মাসকারা। এবার প্রশ্ন হল এই মাসকারা কী করে তৈরি হবে। ঘরোয়া উপায়ে মাসকারা তৈরির উপায় চলুন একবার দেখে নিই।
রুক্ষ চুলের একঘেয়ে সমস্যা? মুক্তি পেতে রইল ঘরোয়া উপায়
চুল, আজকের ফার্স্ট লাইফে এনিয়ে সমস্যায় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর বৈকি। ঠিকই ধরেছেন সাজগোজ করে পার্টিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছেন, অথচ দেখছেন চুলটা ম্যাড়মেড়ে। কোনওভাবেই তাকে বাগে আনতে পারছেন না, এতটাই রুক্ষ দশা। মন খারাপ হয়ে গেল, তাই না? না পারছেন সুন্দরভাবে চুল ছেড়ে যেতে, না পারছেন খোঁপা বেঁধে নতুন কোনও স্টাইল স্টেটমেন্টে নিজেকে গুছিয়ে নিতে। মন খারাপ না করে পার্লারে ছুটেছেন, কিন্তু কদিন। যেই না স্পা-র আমেজ কাটল আবার সেই রুক্ষতা। তাই দেরি না করে ঘরোয়া উপায়েই চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করুন। সঙ্গে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে ফিরিয়ে আনুন চুলের স্বাভাবিক জেল্লা। দেখবেন আগামী পার্টিতে আপনিই অনন্যা।
অফিস থেকে ফিরে বিয়েবাড়ি, ক্লান্ত ত্বকে জেল্লা ফেরান এভাবেই
এই গরমে বিয়েবাড়িতে যাওয়ার প্রসঙ্গ আসলেই শরীরটা খারাপ লাগে। কারণ কিন্তু একটাই ঠিকমতো সাজগোজ করে যাওয়াটাই একটা বিরাট বড় সমস্যা। কী করেই বা সাজবেন, ঘেমে নেয়ে একসা হয়ে অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসে। স্নান সেরে বিছানা টানতে থাকে বিয়েবাড়ি নয়। কিন্তু সমাজে যখন বসবাস করছেন তখন তো বিয়েবাড়ির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান এড়াতে পারবেন না। আপনাকে যেতেই হবে। কিন্তু সারাদিনের খাটাখাটনির পর ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে সাজানো মেকাআপ কিট, লাইনার মাশকারা কোনওটাই ঠিক মনে ধরে না। সাজলেও যেন প্রাণ আসে না। ক্লান্তি মেকআপ ছাড়িয়ে ঠিক ফুটে বেরিয়ে পড়ে। পার্লারে গিয়ে যে সাজবেন তার সময় কোথায়, আর সাজলেই কি গোটা দিনের ক্লান্তিকে ঢেকে দিতে পারবেন? তাইবলে বিয়েবাড়ি যাবেন না তাতো হয় না। তবে এই টিপসগুলি মাথায় রাখলে সাজগোজও সুন্দর হবে, ক্লান্তি বলে কিছুই থাকবে না।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লিপস্টিককে ঠোঁটে ধরে রাখতে চান? রইল উপায়
ওহ, লিপস্টিক ছাড়া তো মেকআপ সম্পূর্ণই হয় না। কিন্তু যতই মন দিয়ে নিয়ম মেনে নিজেকে সাজান না কেন, বেশিক্ষণ লিপস্টিকের স্থায়িত্ব যেন কষ্ট কল্পনা। এক্ষেত্রে কী করবেন মাঝে মাঝে ভেবেই উঠতে পারেন না। তবে বেশি ভাবনা চিন্তার দরকার নেই এমন কথা মাথাতেও আনবেন না। কারণ প্রথম প্রেম হোক বা বিয়ে, প্রেমিকা কনে প্রত্যেকের লিপস্টিকের দিকে আলাদা নজর পড়েই। তাই নিজেকে সাজানোর সময় লিপস্টিককে অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন। কিন্তু ওই যে সামান্য একটা আইস্ক্রিম খেলেন তারপর খেয়াল হল, এমা লিপস্টিক আদৌ ঠোঁটে আছে তো? প্রেমিকের হাত ধরে হাঁটতে বেরিয়েও লিপস্টিকের উপস্থিতি নিয়ে মনে দুশ্চিন্তা চলেই। আজ রইল এই দুশ্চিন্তার সমাধান সূত্র।