পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, এদিকে শপিং-এ গিয়ে দেদার খাওয়াদাওয়া করে ভালোই ওয়েট পুট অন করেছেন। কিন্তু পুট অন করলেই তো আর হবে না, তা কমানোর চেষ্টাও করতে হবে। নাহলে তো পুজোর স্টাইল স্টেটমেন্ট সাজগোজ ফ্যাশন সবটাই মাঠে মারা যাবে। তবে তাই বলে কী খাবেন না মনের মতো চিকেন চাঁপ, মটন কষা, ইলেশের তেল ঝাল। না না এর বেশি আর মনে করাতে চাই না। মনোকষ্টে চোখে জল চলে আসবে। তার থেকে এই ভাল, খাবার খান আবার মেনটেনও করুন। তাতে পেটে খেলে পিঠে ঠিক সহ্য হয়ে যাবে। মেদ জমিয়ে বোঝা বাড়াবে না আশাকরি।
এদিকে পুজোরও আর বিশেষ দেরি নেই, এখন চটজলদি ওজন কমানোটাও সম্ভব নয়। তাহলে হাতে পড়ে থাকল একটাই অপশন খাওয়াদাওয়াটা হিসেব করে করতে হবে। প্রতিদিনের মেনুতে টক দই রাখতে পারেন। টক দই শুধু মেদই ধরায় না, পেটও সুস্থ রাখে। টক্সিন দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। শরীরকে ডি-টক্সিন করতে চাইলে আপনাকে খেতেই হবে টক দই। একই সঙ্গে তেল ঝাল মশলার খাবারেও রাশ টানুন। এর জন্য দুঃখ না পাওয়াই ভাল, কেননা পুজোর কয়েকটি দিন অনিয়ম তো হবেই। তেলে ঝালে ঝোলে অম্বলে খেতে খাওয়াতে কোনও দিকটিই ছাড়া হবে না। তাই এখন থেকে টক দই খেলে সেই সময় শরীরও সুস্থ থাকবে, মনটাও ভালো হবে। লিভারের বারোটা বাজবে না।
শসার সঙ্গে টক দই স্যালাড বানিয়ে খান। চিনি ছাড়া চট দই খেয়ে খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ফেলুন। ভাল কোলেস্টেরলকে বাড়তে দিন। অবশ্যই ঘরে পাতা টক দই খান। পর্যাপ্ত জল, টকদই ও কয়েকটা প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করলে পুজোতেই আপনি একেবারে ফিট থাকবেন। এই টক দই-ই দূর করবে গ্যাস অম্বল বদহজমের সমস্যা। রক্তের দূষণ ও ক্ষতিকর টক্সিনকে শরীর থেকে দূর করতে হলে টক দইকে আপন করে নিন। এমনকী, পুজোয় খাওয়াদাওয়া, দেদার ঘোরাঘুরি, রাত জেগে ঠাকুর দেখা সবমিলিয়ে ঘুমের সময়টাই নেই। ক্লান্তি ও অসুস্থতা কাটাতে এসময় আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই টক দই। তাই দেরি না করে এই বেলা পাতে থাকুক টক দই।
![SALAD](https://bongmag.com/wp-content/uploads/2019/09/curd-final.jpg)
পুজোতে ফিট থাকতে চাইলে আজ থেকেই পাতে থাকুক টক দই
Facebook Comments Box