ইনস্টাগ্রামে ছবি দিতে কার না ভাল লাগে। যদিও ব্যক্তিগত ছবি দিতে গেলে একটু কিন্তু কিন্তু ভিতরে থেকেই যায়। কেননা বর্তমানে সাইবার অপরাধ যে হারে বাড়ছে তাতে যেকোনওদিন আপন যে টার্গেট হবেন না তা হলফ করে বলা মুশকিল। এদিকে ইনস্টাহোল্ডার যদি একজন সেলিব্রিটি হন তাঁর তো নিজস্ব ফ্যান ফলোয়ার্স রয়েছে। জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে প্রায় প্রতিদিনই ছবি দিচ্ছেন। ফলোয়াররা ছাড়াও বেশকিছু পছন্দের মানুষজনও থাকেন। যাঁদের জন্য ছবি থাকতে পারে। কিন্তু চেয়েও তা দেওয়া হয়ে ওঠে না, একটাই কারণে। ছবি পাবলিক হয়ে যাবে।
ট্যাগ শাম্মী আরা হুদা
মুঠো আবীরে ধামসা মাদলের তালে রঙীন বোলপুর, ডাকছে বাউলে বসন্ত উৎসব
বসন্ত এসে গেছে, আকাশে বাতাসে প্রেমের হাতছানি। ফাল্গুনকে রাঙিয়ে দিতে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া-সহ হরেকরকম ফুলের মেলা। প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকেও রাঙিয়ে নেওয়ার সময় এসে পড়েছে প্রায়। আর মেঠো ফাগুনের আমন্ত্রণে এবারেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ডালি নিয়ে বোলপুরে হাজির ইন্ট্রাভেনাস এন্টারটেনমেন্ট। বোলপুরকে আরও একটু কালারফুল করতে, সেই সঙ্গে একটু রঙের ছোঁয়ায় বছরভরের ক্লান্তি ভুলতে আপনাকে আসতে হবে সায়রবীথির বাউলে বসন্ত উৎসবে। আগামী ৬ মার্চ থেকে ১১ মার্চ বোলপুরের তালতোড়ের সায়রবীথি কালচারাল পার্কে, প্রতিবারের মতো এবারেও দোল উপলক্ষে থাকছে একঝাঁক অনুষ্ঠান।
প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে ইঞ্জিনিয়রের চমক, জায়গা ছেড়ে উঠছে সেতু(দেখুন ভিডিও)
ফাল্গুন মাস মনে গুনগুনের সূচনা করে। পলাশ ফুটলেও কেমন যেন প্রেম পায়। তার উপরে সরস্বতীপুজো ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-ও শেষ। সামনে দোল, রাঙিয়ে দিয়ে যাওয়ার পালা আসছে আসছে করছে। এমন সময় যদি প্রপোজটা করেই ফেলেন, তবে আসছে বৈশাখে বিয়েটা হয়েই যাবে। আর উৎসাহ বেশি থাকলে এই ফাগুনেই চারহাত এক করতে তো কোনও পুরোহিতের দরকার পড়ছে না। টুক করে ম্যারেজ রেজিস্টারের কাছে চলে গেলেই হবে। যাকগে পুরোহিত বা ঘটক কোনও ভূমিকাতেই থাকছি না। তবে প্রেমে আছি, চাইলে নেমন্তন্ন বাড়িতে গিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি বর-কনের সঙ্গে সেলফি তুলতেও একপায়ে খাড়া। কিন্তু ওই যে বললাম, প্রেমটা কিন্তু হওয়া চাই। তবে বিয়ের আগে হয়ে গেলেই ভাল। কথায় আছে না ‘কাল কিসিনে দেখা।’
ক্যানভাসে বৃষ্টির রাত, প্রহর জাগে ১৪ ফেব্রুয়ারি
একটা আদা চা, রঘু দা। মাথাটা খাটো করে ঝুপড়ির দোকানে মুখটা দেখিয়েই চটপট বাড়ির দিকে এগোতে থাকে নীলু। ঠান্ডা একেবারে পাঁজরের হাড় কটাকেও কাঁপিয়ে দিল। ছাতাটা সঙ্গে ছিল তাই মাথাটুকু বেঁচেছে। সে যাইহোক এখন গায়ে একটু গরম জল ঢেলে যতক্ষণ না বসছে ততক্ষণ শান্তি নেই। অন্ধকারেই কোনওরকমে হাঁচরপাঁচর করে চাবিখানা খুঁজে পেল। মান্ধাতার আমলের বাংলো, কত যে তার তালা। সবকটা খুলতে গেলে হাত ব্যথা হয়ে যাবে। ভাগ্যে রঘুদা ছিল, তাই নিয়ম করে বাড়ির যত্ন আত্তি হয়। স্নানে যাওয়ার আগে গিজারটা চালিয়ে দিল নীলু। ঘড়ির কাঁটা সাতটা ছুঁই ছুঁই, এই পাহাড় জঙ্গলের দেশে মনে হচ্ছে গভীর রাত।
দোল এলেই ভয় হয়, উন্মত্ত জনতার ভিড়ে একলাটি শান্তিনিকেতন
দোল আসছে, এসবিআই-এর পিছনের মাঠে থোকা থোকা পলাশ। বিদ্যাভবনের পুরনো অফিসে যেতে যে রাধাচূড়া পথ আটকে দাঁড়ায় সে এখন হলুদ শাড়িতে উচ্ছল তরুণী। হাতি পুকুরে ধারেও তারের ফাঁকে পলাশকে দেখলাম। কেমন লাজুক মুখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দেখে একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনায় মনটা ভরে উঠল। উত্তুরে হাওয়া সবে পথ ভুলেছে, সন্ধ্যা হলেই বোলপুরে এখন দখিন হাওয়ার পাগলামি। দোল আসতে তো আর বাকি নেই, গতবারের বসন্ত উৎসবের বেদনাদায়ক স্মৃতি এখনও টাটকা। আভাবনীয় ভিড়ের চাপে সেদিনের শান্তিনিকেতনকে দেখে মনে হচ্ছিল মেলার মাঝে ভরসার হাতটা ছিটকে গিয়েছে। দুচোখে ভয় আর অসহায়তা নিয়ে প্রিয়জনকে খুঁজে ফিরছে সে। বিশ্বভারতীতে এখন বসন্ত উৎসব হয় ঠিকই, তবে শান্তিনিকেতনের আত্মা তখন চুরি যায়।
যুদ্ধ কেড়েছে দুই চোখ, কান, চোয়াল; ১৭টি গুলি খেয়েও মানুষের সেবা করছে ছোট্ট ম্যাগি
সারমেয়র ভালবাসা নিয়ে তো কোনওরকম সন্দেহের অবকাশ নেই। সারমেয় প্রেম যেমন মারাত্মক, তেমন মানুষের প্রতি সারমেয়র ভালবাসাও অপরিমিত। যত কষ্টই হোক সে তার কাছের মানুষদের রক্ষা করবে। একইভাবে কষ্টটাই বড় কথা নয়, সারমেয়র ধর্মই হচ্ছে অন্যকে সহযোগিতা করা, রক্ষা করা। শত আঘাত সহ্য করেও সারমেয় নিজের ব্রত থেকে সরে আসে না। এমনই ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে। সেখানে রয়েছে ম্যাগি নামের বছর পাঁচেকের একটি মিষ্টি সারমেয়। আজ শুনব তারই যন্ত্রণাদীর্ণ কাহিনী।