করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে শহর কলকাতা যখন তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কে কাঁপছে। এদিকে দুর্গাপুজোও (Durga Puja 2021) এসে পড়েছে। ঠিক তখনই এই শহরের বেশ কিছু নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে মাস্কহীনভাবে ঠাকুর দেখানোর উদ্যোগ নিল কলকাতার একটি বিখ্যাত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রিয়ালটেক নির্মাণ প্রাইভেট লিমিটেড।
ট্যাগ Durga Puja
Durga Puja : দুই বাংলার দুর্গাপুজো
শরৎ এলেই কানে আসে ঢাকের বাদ্যি৷ দুর্গা মায়ের (Durga Puja ) আগমনী ডাক। ধর্মতত্ত্বের আঙিনা ছাড়িয়ে সেই কতকাল আগেই বঙ্গজীবনের সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে এই দুর্গাপুজো।
Durga Puja: সেকাল বনাম একাল-বঙ্গদেশে দুর্গাপুজোর সাতকাহন
যুগ যুগ ধরে বাঙালি মেতে ওঠে তার প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোয় (Durga Puja)৷ যুগের পরিবর্তন, সময়ের অভাবে পুজোর অনেক বিধি নিয়মে বদল এসেছে।
রাত পোহালেই দেবীপক্ষ, দুর্গা ফিরছে দূর গাঁয়…
ওহ এক কাপ চা না হলে আর চলছে না, বৃষ্টিতে কাক স্নান করে ফিরতে ফিরতে নমিতার একথাটাই মনে হচ্ছিল। আকাশের যা অবস্থা তাতে সারাদিনে বৃষ্টি ধরবে বলে তো মনে হচ্ছে না। থেকে থেকে আবার গুড় গুড় করে ডেকে উঠছে। একেবারে আষাঢ়ে বৃষ্টি যাকে বলে তাই, আর মাত্র একটা দিন তারপরেই বীরেন ভদ্রর কণ্ঠে আপামর বাঙালির ঘরে বেজে উঠবে ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে…’, তার আগে একি বৃষ্টি শুরু হল বল দেখি। বারান্দায় উঠে তড়িঘড়ি আলোটা জ্বালিয়ে দিল, গেল বর্ষায় বেড়াগুলো ভেঙেছে। এই শীতের মধ্যে না পাল্টালে আর রক্ষে নেই। বাড়ি ফিরে দেখবে পাড়ার পোষ্যরা সব জটলা পাকাচ্ছে। সারা মেঝেটাই পিচ্ছিল হয়ে আছে। এঃহে চুল থেকে জল পড়ছে। এই বেলা স্নান না করলে পুজোর আগেই একটা অসুখে পড়বে। ছাতাটাও ফুটো হয়েছে, আর সেলাই করা যাচ্ছে না, লক্ষ্মী টাকাটা দিলে আগে একটা ছাতা কেনা, বাকিটা পড়ে দেখা যাবেখন।
ঢাকের বাদ্যি ডাকের সাজ, উমা এল ঘরে…
ঢাকের বাদ্যি, ডাকের সাজ রাঙা পায়ে উমা আসে বাপের বাড়ি। দেখতে দেখতে পুজো এসে গেল। বাঙালির দুর্গাপুজো। বাতি নিভিযে শুয়ে পড়ার সময় সুহসিনীকে বার বার করে ক্ষেমন্তী বলেদিয়েছিলেন তাঁকে যেন ভোরবেলা ডেকে দেয়। টুপ করে গঙ্গাস্নানটা সেরে আসতে হবে, রাত পোহালেই যে মহালয়া, শুদ্ধবস্ত্রে দেবীপক্ষের আগমনি না শুনলে মন যে তাঁর ভরে না। সেই কবে দিনাজপুরের মামা বাড়িতে তাঁর মহালয়া শোনার পাঠ শুরু হয়েছিল তা আর ঠিকমতো মনে পড়ে না। বাপ মা মরা ক্ষেমন্তীকে মেয়ের মতোই মানুষ করেছিলেন মামা সুদেব সরকার। এলাকার সরকারবাবু বলে কথা, গাঁ ঘরে তাঁর দাপট দেখলে চোখ কপালে উঠত। সাত গাঁয়ের লোক মামাকে মানিগণ্যি করত।