রোম্যান্টিক শীত হোক বা ভিলেন গরম মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে সবসময়ই আনন্দ মুখর হয়। যদি হাতের কাছে মনের মতো একপ্লেট মিষ্টি মেলে। শেষপাতে মিষ্টি থাকলে সে সুখ রাখি কোথায় টাইপের লোকসংখ্যা কিন্তু কমেছে ভাববেন না। শুধু সঠিক সময় ও জমাটি খাদ্য রসিকের সন্ধান পেলেই ডায়েটে আছি, মিষ্টি পছন্দ নয়। এসব কোথায় যেন মিলিয়ে যায়। দূর আগে তো দুটো টপাটপ গরম নতুন গুড়ের রসগোল্লা মুখে ফেলি। তারপর নাহয় ডাক্তারের নাম করিস। সকালে নাহয় একটু বেশি ওয়ার্ক আউট করব।
গুজব শোনা যায়, দোকানে এখন নাকি গরুর দুধের বদলে সয়াবিন দুধ ব্যবহার হচ্ছে। তাই মিষ্টি খেতে গেল অথেন্টিক স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে। হেঁশেলে গেট টুগেদারে যখন বিরিয়ানি হাড়ি চড়ে। তখন মিষ্টিটাই বা কেন বাদ যায়। রবিবার মেয়েবেলার তিন বন্ধুকে খেতে ডেকেছেন। সেই কলেজ কেটে সিনেমা দেখতে যাওয়ার দিনগুলোতে যেমন রসমালাইয়ের বাটি চেটেপুটে সাফ করতেন। একবার ভাবুন তো। তেমন আর একবার হলে মন্দ কি। মুটিয়ে যাচ্ছি, এমন কথা না হয় একদিনের জন্য তোলা থাক। বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু রসমালাই। শেষপাতে এমন ডেজার্ট পেলে ঘুমিয়ে থাকা শৈশব ফের ভালবাসায় টইটম্বুর হয়ে উঠবে। আরও পড়ুন-রবিবারের দুপুরে টেবিলে থাক বাহারি চিকেন কষা
উপকরণ-
২ কাপ ছানা
লেবুর রস বা ভিনিগার ১/৪ কাপ
সিরার জন্য ২ কাপ চিনি ও ৪ কাপ জল
মালাইয়ের জন্য ঘন দুধ ১ লিটার
হাফ কাপ চিনি
পরিমাণ মতো এলাচ গুঁড়ো
মিষ্টির জন্য হাফ টেবিল চামচ ময়দা
বেকিং পাউডার ১/৪ চা চামচ
সুজি ১ চা চামচ
ছানা ১ টেবিল চামচ
মিষ্টির তৈরির জন্য-
প্রথমে ছানার জন্য দুধ একবার ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই গরম দুধে লেবুর রস বা ভিনিগার দিয়ে এক মিনিটের মত রেখে দিলেই দুধ কেটে যাবে। এরপর জলসমেত ছানা একটা পাতলা কাপড়ে বেঁধে জল ঝরাতে হবে| সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জলও দিতে হবে| ভালো করে চেপে জল ঝরিয়ে নিন| এর পর একটি বড় থালায় ছানাটা ভাল করে হাত দিয়ে মেখে নিতে হবে। ছানা ঝুরঝুরে হয়ে এলে তার সঙ্গে ময়দা, সুজি, বেকিং পাউডার ও চিনি দিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে| নরম একটা ছানার তাল তৈরি হয়ে এলে। এর থেকে অল্প অল্প করে পছন্দমতো আকারে মিষ্টি গড়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন ছানার তাল যেন নরম হয়। তাহলে যে কোনও আকারের মিষ্টি তৈরিতে কোনও সমস্যা হবে না।
যখন মিষ্টি বানাচ্ছেন, তখন একটা সসপ্যানে সিরার জন্য জল, চিনি ও এলাচ ফোটাতে দিন| জল ফুটে সিরা তৈরি হলে মিষ্টিগুলি সসপ্যানে ছেড়ে দিন। মিনিট ২০ সিরার সঙ্গে মিষ্টিগুলিকেও ফুটতে দিন| খেয়াল রাখবেন যেন বেশি সিদ্ধ হয়ে ভেঙে না যায়|
মালাই/রস তৈরির জন্য-
অন্য ওভেনে একটি ননস্টিক পাত্রে দুধ ফোটাতে দিন। মাঝারি আঁচে বার বার নেড়ে দুধ আরও ঘন করুন। ঢিমে আঁচে দুধ অর্ধেক হয়ে আসা পর্যন্ত এমনভাবে নাড়ুন যেন নিচে লেগে না যায়। দুধ ঘন হয়ে এলে তাতে চিনি ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন| আর একটু রেখে ওভেন থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। মালাইয়ের জন্য রস একেবারে তৈরি। এবার সুসিদ্ধ মিষ্টিগুলি ওই রসে এক এক করে দিয়ে দিন। ঘরের তাপমাত্রায় ঘণ্টাখানেক তাপমাত্রায় রাখার পর ফ্রিজারে ঢুকিয়ে দিন মিষ্টির পাত্র। আরও পড়ুন-বিকেলের জলখাবারে প্লেটে থাকুক ফ্রেঞ্জ এগ চিজ স্যান্ডউইচ
শনিবার বিকেলটা এসবেই কেটে গেল। রবিবার লাঞ্চের আগে ফ্রিজার থেকে রসমালাইেয়র পাত্রটি বের করে আনুন। পরিবেশনের আগে কুচনো পেস্তা ও বাদাম তার উপরে ছড়িয়ে দিন| একেবারে তৈরি আপনার সাধের রসমালাই। এখন শুধু পেটে যাওয়ার অপেক্ষা মাত্র। কী পুরনো বন্ধুর কথা মনে পড়ছে তো? তাই দেরি না করে এইবেলা রেসিপিতে চোখ বুলিয়ে বাজার সেরে ফেলুন। উইকএন্ডে এল বলে।