Krishna Bose

এলগিন রোডের বসুবাড়িতে বিষন্নতার সুর, প্রয়াত কৃষ্ণা বসু

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে কলকাতার বসুবাড়ির অবদান অনস্বীকার্য। শুধু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই নন, মেজদাদা শরৎচন্দ্র বসু বাঙালির গর্ব। পারিবারিক কারণে সামনে থেকে বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ না দিলেও ছোটভাই সুভাষকে সবসময় দেশের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে গিয়েছেন। একেবারে ফাদার ফিগার বলতে যা বোঝায় শরৎচন্দ্র বসু নেতাজির কাছে তাইই ছিলেন। কৈশোর যৌবনে দাদা শরৎ বসুর সহযোগিতা পেয়েছেন। আর যেসময় ব্রিটিশ রাজের চোখে ভয়ঙ্কর প্রতিপন্ন হয়ে গেলেন সেই সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করেন আদরের ভাইপো শিশির বসু। মেজদাদা শরৎচন্দ্র বসুর ছেলে। এলগিন রোডের বাড়িতে ব্রিটিশ পুলিশ নেতাজিকে নজরবন্দি করে রেখেছিল, এ তথ্য আজ সকলেরই জানা। সেই নজরবন্দি অবস্থাতেই একদিন উধাও হয়ে গেলেন সুভাষ বসু। সৌজন্যে ভাইপো শিশির বসু। কাকাকে ব্রিটিশ পুলিশের রাঙা চোখ এড়িয়ে নিরাপদ দূরত্বে সেদিন পৌঁছে দিয়েছিলেন শিশির বসু।

Bangladesh, sahid minar

মধ্যরাতের সেলফি নয়, স্বপ্ন দেখি ভোরবেলার একুশে ফেব্রুয়ারি; ফিরছে বাংলাদেশ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমিকি ভুলিতে পারি।’ ভাষার জন্য বাঙালির প্রাণ বিসর্জন ৬৮ বছরে পড়ল। সে সময় পাকিস্তান দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল, বর্তমান পাকিস্তান তখন পশ্চিম পাকিস্তান আর বাংলাদেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার যখন ঘোষণা করল, উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এর প্রতিবাদে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাজপথে চলে আসে। ‘বাংলা হবে রাষ্ট্রভাষা’ এই দাবিতে প্রতিবাদী ছাত্রদের আন্দোলন থামিয়ে দিতে ঘাতক পুলিশ চালায় গুলি। শহিদ হন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত-সহ আরও অনেকে।

Bangla Bhasa Utsab

সারারাত বাংলা ভাষা উৎসব, অ্যাকাডেমির উঠোনে রইল আমন্ত্রণ…

রাত পোহালেই একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বাঙালির আত্মার আত্মীয়। যে ভাষার জন্য একদিন দলে দলে জীবন বিলিয়ে দিতেও বাঙালি দু’বার ভাবেনি। সেই ভাষাদিবস ওপার বাংলার কাছে যেমন বিশেষ দ্রষ্টব্য, এপার বাংলায় তেমনটা আর হল কই। ভার্চুয়াল জগতেই এখন একুশে ফেব্রুয়ারির আসাযাওয়া নজরে আসে। তবুও নিজের মতো করে পশ্চিম বাংলাতেও এখন ভাষাদিবসের উদযাপন হয়। যেমন ইমানুল হকের ভাষা চেতনা সমিতি। ইমানুল টানা ২১ বছর ধরে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ভাষা দিবসের উদযাপন করে আসছেন, একেবারে অভিনব উপায়ে। সেই ১৯৯৯ সাল, দেখতে দেখতে ২১ পেরিয়ে বাইশে পা দিয়েছে। ভাষা চেতনা সমিতির বাংলা ভাষা উৎসব আজ টগবগে যুবক। এবারও ২০ তারিখ অর্থাৎ আজ থেকেই কলকাতার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে রানুছায়া মঞ্চে শুরু হয়েছে উদযাপন।

Dagmar Turner

মারণ টিউমার বাদ দিতে মাথায় চলেছে জটিল অস্ত্রোপচার, অপারেশন টেবিলে বেহালা বাজাচ্ছেন রোগিণী

সুরের মূর্চ্ছনায় যিনি একবার নিজেকে বেঁধে ফেলেছেন, তাঁর পক্ষে সুর ছাড়া সবকিছুই অর্থহীন। সে বাঁশিবাদকই হোন বা বেহালাবাদক। সুরহীন পৃথিবীতে তাঁকে রাখা মানে মেরে ফেলার শামিল। কোনও সুরেলা কণ্ঠী যেমন একদিন যদি জানতে পারেন, ভাগ্য তাঁর গলা থেকে গান কেড়েছে তবে সে যন্ত্রণা আর কিছুতেই নেই। তবুও মিরাক্যাল ঘটে। তাইতো আশারা পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। এমন ঘটনা ঘটেছে লন্ডনে, বছর ৫৩-র ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট ডাগমার টার্নার দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হলেন। মাথা তাঁর আর ঠিকমতো কাজ করছে না। একদিন কিংস কলেজের হাসপাতালে গিয়ে নিউরো বিভাগে নাম লেখালেন। মাথায় তাঁর কি হয়েছে জানতে হবে। সেই ১০ বছর বয়স থেকে বেহালা বাজাচ্ছেন, এখন চেষ্টা করেও সুর তুলতে পারছেন না।

TAPAS PAL

স্মৃতিটুকু থাক…

মন খারাপের কোনও নির্দিষ্ট দিন হয় না, মুহূর্ত হয়। কখন সে হানা দেবে আগের থেকে বোঝা বড় মুশকিল। হাসিখুশি দিলদরিয়া সাহেবের এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। যাঁরা ‘চন্দননগরের মাল’ বলে তাঁকে নিয়ত উপহাস করেছেন, কোথাও গিয়ে তাঁদেরও আজ কষ্ট হচ্ছে। তাপস পাল শহুরে যুবকের নয়, বাংলার হিরো। একটা মাত্র দুর্বাক্য কেদার চাটুজ্জের প্রতি বাঙালির চোরা টানকে ঘৃণায় পরিণত করেছিল। কতটা পরিশিলীত অভিনয় তানিয়ে আলোচনা প্রায় বন্ধ। সবাই তখন তাঁর মণ্ডুপাত করে চলেছেন। আসলে আবেগ তো বাঙালির সম্বল, সেখানে পড়েছে খোঁচা। মধ্যবিত্তের ভীরু প্রেমের নায়ক কিনা অশালীন হুমকি দিচ্ছেন।

Tapas Pal

মধ্যবিত্ত বাঙালির ভীরু প্রেমের নায়ক, জীবননাট্যের শেষ অংকে মহুয়ার দেশে তাপস পাল

১৯৫৮-র ২৯ সেপ্টেম্বর যে যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ অর্থাৎ ২০২০-র ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোট তিনটে বেজে ৩৫ মিনিটে তার যবনিকা পড়ল। ভরা বসন্তে চলে গেলেন আটের দশকের বাঙালি মধ্যবিত্তের ভিরু প্রেমের নায়ক তাপস পাল। ভিরু প্রেমই তো বলতে হবে, এমন সাদামাটা চেহারা, ঠোঁটের উপরে সদ্য গজানো গোঁফ নিয়ে আর কেই বা সদর্পে প্রেম করতে পেরেছে। সেই সময়কার হার্টথ্রব নায়িকা মহুয়ার বিপরীতে নায়ক হয়েছেন। যে মহুয়ার এক চাহনিতেই বাংলার তরুণ সমাজ প্রেমের নতুন ভাষা পড়তে শিখেছিল। মাসল নেই, নেই মাচো চেহারা। না ছিল ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড। তারপরেও চন্দননগরের নিপাট ভালমানুষ চেহারার তাপস পাল কিন্তু কলকাতার একসে বরকর এক যুবকদের হারিয়ে অডিশনেই তরুণ মজুমদারের মন জিতে নিলেন।

Dhokla

রান্না করে বান্ধবীকে চমকে দিতে চান? বিকেলের জলখাবারে বানিয়ে ফেলুন ধোকলা

আদ্যোপান্ত বাঙালি ছেলে অনির্বাণ। চাকরি সূত্রে সুরাটে থেকেছে প্রায় বছর তিনেক। সেখানেই প্রথম সাক্ষাৎ হয় মেঘনার সঙ্গে। গুজরাটের বাসিন্দা হলেও মেঘনার কাছে কলকাতা তার ভালবাসার শহর হয়ে ওঠে অনির্বাণকে ঘিরে। তবে প্রেমটা জমে উঠলেও চাকরির বদলি বাদ সাধলো দুজনার মাঝে। বর্তমানে প্রেমের বয়স প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। এতদিন পর মেঘনা সেই গুজরাট থেকে পাড়ি দিয়েছে কলকাতার উদ্দেশে। হবু শ্বশুর শ্বাশুড়ির সঙ্গে আলাপটা জমিয়ে নিতে। এদিকে অনির্বাণের মাথায় ভূত চাপলো, সে নিজে মেঘনার পছন্দের খাবার তৈরি করে তাকে চমকে দেবে। মেঘনার খুব পছন্দের খাবার যে আবার ধোকলা। কিন্তু সমস্যা হল এই ধোকলা তৈরি করবে কীভাবে।

Kolkata

মায়ের জন্মদিনে সুরেলা সন্ধ্যা, কথায় গানে বৈঠকী আড্ডায় আরজে শ্রী

বসন্ত মানেই প্রেমের যাপন। আর এই প্রেম তো শুধু দুটি মানুষের মধ্যে হতে পারে না। সময় বিশেষে প্রেমের ধরণ বদলায়। আমার প্রিয় দক্ষিণের জানলা যেমন, দাদুর বাড়িতে বেড়াতে গেলেই মনে হত প্রেমিকার কাছে চলেছি। আমার সবটুকু ভালবাসা দখল করেছিল ওই জানলা। ফাগুন এলেই কৃষ্ণচুড়া একেবারে সেজেগুজে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত। জানলার বাইরেই তার অবস্থান। বাগানের গাছাগাছালির মাঝে একেবারে লাল টুকটুকে রাঙাবউ। এ-তো প্রেম। মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসা বিশ্বজনীন। মা-মানেই আঁচলে হলুদের দাগ, মা মানেই ভরসার কোল। যেখানে মাথা রাখলে দুঃখও বলে, তোকে ছুটি দিলাম। মা আবার দেশের মাটিও। যার টানে নির্ভাবনায় জীবন দিতে তৈরি হয়ে যা বিপ্লবী ছেলেরা। মায়ের শিকল বাঁধা পা দেখতে কেই বা চায় বলুন। সেই মায়ের জন্মদিনেই গানে কথায় বৈঠকী আড্ডা।

Propose Day

প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে ইঞ্জিনিয়রের চমক, জায়গা ছেড়ে উঠছে সেতু(দেখুন ভিডিও)

ফাল্গুন মাস মনে গুনগুনের সূচনা করে। পলাশ ফুটলেও কেমন যেন প্রেম পায়। তার উপরে সরস্বতীপুজো ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-ও শেষ। সামনে দোল, রাঙিয়ে দিয়ে যাওয়ার পালা আসছে আসছে করছে। এমন সময় যদি প্রপোজটা করেই ফেলেন, তবে আসছে বৈশাখে বিয়েটা হয়েই যাবে। আর উৎসাহ বেশি থাকলে এই ফাগুনেই চারহাত এক করতে তো কোনও পুরোহিতের দরকার পড়ছে না। টুক করে ম্যারেজ রেজিস্টারের কাছে চলে গেলেই হবে। যাকগে পুরোহিত বা ঘটক কোনও ভূমিকাতেই থাকছি না। তবে প্রেমে আছি, চাইলে নেমন্তন্ন বাড়িতে গিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি বর-কনের সঙ্গে সেলফি তুলতেও একপায়ে খাড়া। কিন্তু ওই যে বললাম, প্রেমটা কিন্তু হওয়া চাই। তবে বিয়ের আগে হয়ে গেলেই ভাল। কথায় আছে না ‘কাল কিসিনে দেখা।’

Chewing Gum Art

চিবানো চুইং গামে ছবি আঁকছেন বেন, লন্ডনের রাস্তায় ভিড় করে দেখছে মানুষ(দেখুন ভিডিও)

সৃজনী এক সুপ্ত ভালবাসা, কখন যে কার মধ্যে সে জেগে উঠে নিজের নিদর্শন রাখতে শুরু করবে তা আগে থেকে কল্পনা করা সম্ভব নয়। তবুও মননশীল মানুষের অন্তরেই সে আদরণীয়। সেই মননশীলতা সমাজের যে কোনও স্তর থেকেই আসতে পারে। কোনওভাবেই সৃজনীকে ধনীর খেয়াল বলে চালাতে পারবেন না। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মালেও হয়তো সুযোগ সুবিধা বেশি আসে। কিন্তু কুঁড়েঘরেও চাঁদের আলো প্রবেশ করে। শুধু তাকে লালন করতে জানতে হয়। শিল্প যত লালিত পালিত হবে, শৈল্পিক সত্ত্বার বিকাশ ততই মননশীল হবে। ১৬ বছর ধরে তেমনই কাজ করে চলেছেন বেন উইলসন।