জাপানিরা খাদ্য রসিক এতথ্য অনেকেরই জানা, কিন্তু তাইবলে ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের বার্গার খায় এটা মানতে বেশ কষ্টই হবে। সে আপনি চমকে উঠুন আর আপনার চোখ কপালে উঠুক তাতে কিন্তু কিছু যায় আসবে না। তবে ৬৫ হাজারর বার্গার খেতে হলে রাজধানী টোকিওর গ্র্যান্ড হায়াতের দ্য ওক ডোর স্টেকহাউসে আপনাকে আসতেই হবে। এখানেই মিলবে সেই লোভনীয় জায়ান্ট সাইজের বার্গার। যারমধ্যে এক কেজি ওজনের একটা বিফের টুকরো থাকবে সঙ্গে আরও লোভনীয় কিছু উপকরণ। চাখতে চাইলে কিন্তু আসতেই হচ্ছে। জাপানে পৌঁছে যদি দেখেন পকেটে এক লক্ষ ইয়েন আচে তাহলে ঢুকে পড়ুন বার্গার খেতে, তবে অবশ্যই বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে এসে একই সঙ্গে ট্রিট টা সেরে নিতে পারেন। এই পেল্লাই সাইজের বার্গার একা হজম করতে পারবেন না।
ফিরে আসি বার্গার কথায়, ভাবছেন, একটা বার্গার, তার দাম একটা আইফোনের সমান হতে পারে কী করে? বার্গারটি বানিয়েছেন মার্কিন শেফ প্যাট্রিক শিমাডা। রেস্তরাঁর তরফে জানানো হয়েছে, এটিতে রয়েছে বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা ১ কেজি গরুর মাংসের একটি টুকরো (যে মাংস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে টোকিও নিয়ে যাওয়া হয়), লেটুস, টমেটো, পেঁয়াজ, জাপানি চিডার পনির, জাপানের ওয়াগুউ গরুর মাংসের স্লাইস, ফোয়ি গ্রাস (বিশেষ ভাবে প্রতিপালন করা হাঁসের লিভার থেকে তৈরি খাদ্য উপাদান), টাটকা তৈরি করা কালো ট্রাফলস (এটি বিশ্বের অন্যতম দামি খাদ্য উপকরণ), সোনালি বান, আলু ভাজা (আলুটিকে তিনবার রান্না করা হয় বিশেষ পদ্ধতিতে)। যে সসগুলি ব্যবহার করা হয় তাও বিশেষভাবে তৈরি।
সবার আগে সোনালি বানটিকে মাঝামাঝি কেটে দু’টি স্লাইস করে নিন। নিচের অংশটিকে বেস হিসেবে ব্যবহারের জন্য সেটিকে সেঁকে নিয়ে তার উপরে গার্লিক স্যাফ্রন সস দিয়ে দিন। এরপর একে একে লেটুস ও টম্যাটোর আস্তরণ তৈরি করুন, তারপর এক কেজি ওজনের মাংসের টুকরোটি রেখে দিন। মাংসের উপরে ঢেলে দিন জাপানি চিডার পনিরের স্তর। এবার দিন ফোয়ি গ্রাস, ট্রাফলস। একপ্রকার কাজ শেষ হয়ে গেল। এবার পরতে পরতে সাজিয়ে ফেলুন জাপানের ওয়াগুউ গরুর মাংসের স্লাইসও অন্যান্য উপকরণগুলি। সাজানো সম্পূর্ণ হলে বাকি সোনালি বানের স্লাইসটি দিয়ে ঢেকে দিন। এবার রেডওয়াইন বা শ্যাম্পেনর সঙ্গে উপভোগ করুন দ্য গোল্ডেন জায়ান্ট বার্গার। সাইজ কিন্তু চপিং বোর্ডের মতো, তাই পেট খালি করেই রেস্তরাঁতে ঢুকতে ভুলবেন না।