Holi

দোল বনাম হোলির বিড়ম্বনা, কোন রঙে ফিরছে মন?

হোলিতে মেতে উঠেছে বাঙালি। শুধু বাঙালিই বা বলি কেন রঙের উৎসবে বর্ণিল গোটা ভারতবর্ষ। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে হোলি আবারি কি, দোল বলুন না। বাঙালির প্রিয় বসন্ত উৎসব তো কবিগুরুর হাত ধরেই এসেছে, তার আগে লোকজন দোল খেলত। বিভিন্ন ভাষাভাষির দেশ ভারতে দোলের রীতি রেওয়াজও বর্ণময়। তাই অবাঙালিরা আজকের দিনে হোলিতে মেতে ওঠেন। অন্যদিকে মায়াপুরের দোল কিন্তু পুরোপুরি ধর্ম কেন্দ্রিক। শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব আবার অনেকটা মিলন মেলার মতো। স্থান ভেদে দোলের রূপ বৈশিষ্ট সবই বদলেছে। তবে আক্ষরিক অর্থটা একই থেকে গিয়েছে। এই ডামাডোলের বাজের এক মুঠো রং যদি খুশি আনে, ক্ষতি কি!

Bsanta Utsab

স্বস্তিকাদি গাইছেন “নিবিড় অমা তিমির হতে বাহির হল”, গৌর প্রাঙ্গণের আকাশে তখন মেঘ সরে চাঁদ উঠছে__ এভাবেই আমার বসন্তকে দেখা

১৭ বছর আগে তিনি পড়তে এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। তার আগে টিভিতে এখানকার বসন্ত উৎসব দেখা। পড়ার প্রথাগত পাঠ ফুরোলেও গুরুদেবের মাটির টানে থেকে গিয়েছেন। দেখতে দেখতে ১৭টা বসন্ত কাটছে, এই মায়ার টান ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না, তিনি সংগীতভবনের প্রাক্তনী গৌরব চৌধুরী। শান্তিনিকেতনের পড়ুয়াদের প্রিয় বন্ধু, দাদা, ভাই। দাদা দিদিদের প্রিয় ছাত্র। bongmag.com-এর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তাঁর পরম পাওয়া বসন্তকে।

Basanta Utsab

‘দোল পূর্ণিমার আলো মেখে হাসছে আশ্রম মাঠ, নাচে গানে জমে উঠেছে আড্ডা’__ ফিরে দেখা বসন্ত উৎসব

বসন্ত এলেই তিনি স্মৃতিতে বাঁচেন, ঘণ্টা তলা, সেঁজুতি, গৌর প্রাঙ্গণ, আশ্রম মাঠের সেই আড্ডা। বাড়ির বারান্দা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই দেখতে পান গোলা থাতার মতো চাঁদটা তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সেই ছোটবেলার মতো। আশ্রম মাঠে চল আড্ডা হবে। তিনি শান্তিনিকতনের ব্রহ্মচর্যাশ্রমের গুরু ক্ষিতিমোহন সেনের নাতনি সুদর্শনা সেন। bongmag.com- এর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বসন্ত উৎসবের স্মৃতি।

Basanta Utsab

‘রবীন্দ্রনাথ চাইতেন শান্তিনিকেতনকে ছড়িয়ে দিতে, পাড়ায় পাড়ায় বসন্ত উৎসব গড়ে উঠুক’

তাঁকে দেখলেই মনটা আলোয় ভরে ওঠে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত সাবলীল। কখনও এগিয়ে গিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধ হয়নি, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডক্টর সবুজকলি সেন। ছাত্রছাত্রীদের প্রিয় দিদি। বসন্ত উৎসবের অনুভূতি ভাগ করে নিলেন bongma.com- এর সঙ্গে।

Basanta Utsab

ফেলে আসা মেয়েবেলা ও মন কেমনের বসন্ত উৎসব

বসন্ত পঞ্চমী যেতে না যেতেই বাতাসে ফাগুন সুর। শীতবুড়োর রুক্ষতাকে ঝেড়ে ফেলে নিজেকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পলাশ। তার যে রেঙে ওঠার সময় হয়ে এল। নিজের সাজ সম্পূর্ণ করেই তো দোল পূর্ণিমায় রাঙিয়ে দেওয়ার কাজে হাত লাগাবে। পলাশ ফুটলেই আমার মনটা উড়ে যায়। সাততলা অফিসের কাচের জানলা থেকে পাক খেতে খেতে সেই অচিন গাঁ, বিষ্ণুবাটিতে। মাস্টার্স করার সময় ডিসার্টেশন পেপারের জন্য সেই সাঁওতাল গ্রামে নিত্য যাতায়াত ছিল। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে পলাশে যত রঙ ধরে বোলপুরের রাঙামাটিও তালমিলিয়ে তপ্ত হয়ে ওঠে। ততক্ষণে ফুলের মেলায় চারিদিক পূর্ণ। রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, কুর্চি, পলাশ। রবীন্দ্রভবনের বাগানে তখন হরেক ফুলের মেলা। ফুটব ফুটব করছে প্রিয় অমলতাস।