সেবারের জন্মোৎসবে গুরুদেব Rabindranath Tagore উত্তরায়ণের উত্তরদিকে প্রতিষ্ঠা করলেন পঞ্চবটী, সেটাই ছিল “বৃক্ষরোপণ” অনুষ্ঠানের সুচনা যা আজও অব্যাহত। তবে বৈশাখের বদলে তা গুরুদেবের তিরোধান দিবস বাইশে শ্রাবণে। রবীন্দ্রনাথ শেষ জন্মদিনে রচনা করলেন জন্মদিনের গান। হে নূতন দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ।
ট্যাগ রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী
২৫ বৈশাখ ও স্মৃতির মোড়কে শান্তিনিকেতন
আমরা সবাই জানি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র জন্মোৎসব পয়লা বৈশাখ পালিত হত তারপর গরমের ছুটি পড়ত। পরে নিয়মের পরিবর্তন আসে। ২০০৭-এ এই পবিত্র দিনেই আমার জীবনের প্রথম বিদেশযাত্রা। সকালে সাতটায় মন্দির। পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাওয়ায় ধমক খেয়েছিলাম। মন্দিরের দাঁড়িতে ছিলেন বুলবুলদি (বুলবুল বসু)। বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ থেকে রবীন্দ্রনাথের একটি দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্র ও পাণ্ডুলিপির একটি পাতার প্রতিলিপি নিয়ে “২৫ বৈশাখ” নামে সুদৃশ্য কার্ড ছাপা হত। এছাড়াও পয়লা বৈশাখ, ৭ই পৌষেও কিছু পাওয়া যেত।
“আজ প্রাতে আমার জন্মদিন উৎসব”
এক কিশোরীর হাতের থালায় একজোড়া ধুতি-চাদর, নিজের হাতে গাঁথা বকুল ফুলের মালা, বাজার থেকে কিনে আনা বেলফুলের মালার সাথে আরো কিছু ফুল। সেই কিশোরী উল্টোডিঙির বাগান বাড়ি থেকে নিঃশব্দে পার্কস্ট্রাটের বাড়িতে এসে প্রবেশ করল তার মামার ঘরে। তিনি তখনও ঘুমিয়ে। ফুল, মালা ও কাপড় সযত্নে মামার পায়ের কাছে রেখে কিশোরীটি প্রণাম করল। তারপর সেই অসামান্য রূপবান পুরুষকে মৃদুস্বরে ঘুম থেকে জাগিয়ে বলল, “আজ তোমার জন্মদিন’।