এবার আম জনতাকে চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে (Moon Mission) যাওয়ার সুযোগ করে দিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তবে আম জনতা বলতে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাকেই এক্ষেত্রে বোঝানো হয়েছে। তবে চাঁদে যেতে (Moon Mission) ইচ্ছুক বলে নাসাকে জানালাম আর সুযোগ মিলে গেল, এমনটাও নয়। তারজন্য বিরাট প্রস্তুতির অবকাশ রয়েছে। আর সেই প্রস্তুতির জন্যই সুস্থ সবল মার্কিন নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছে নাসা। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে এমন সুযোগ পড়ে পাওয়া ১৮ আনা বৈকি। আরও পড়ুন-নিশ্চিন্তে বেড়াতে যান, এই স্মার্ট গ্যাজেট এবার আপনার ফাঁকা বাড়ির খেয়াল রাখবে
NASA চন্দ্রাভিযানের উদ্যোগ
এই প্রস্তুতির মধ্যে পড়ছে আট মাসের একটা আইসোলেশন পিরিয়ড। তাই যাঁরা চাঁদের (Moon Mission) বা মঙ্গলে (Mars) যেতে চান তাঁদের এই আইসোলেশন পিরিয়ড অতিক্রম করতে হবে। রাশিয়ার মস্কোতে রয়েছে নাসার (NASA) গবেষণাগার। সেখানেই এই অভিযানে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সদস্যকে এক সঙ্গে আইসোলেশনে থাকতে হবে। সময়সীমা আট মাস। মঙ্গল অভিযানে গিয়ে যে ধরনের পরিবেশের সম্মুখীন হতে হবে, তার আঁচ এই আইসোলেশন পিরিয়ডেই পেয়ে যাবেন ক্রু মেম্বাররা।
NASA মঙ্গলে অভিযান
মঙ্গল অভিযানে (Moon Mission) যাওয়া এই আগামীর মহাকাশচারীদের দলে অন্যদেশের ক্রু মেম্বারও থাকবেন। প্রচণ্ড রকমের উৎসাহী ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এমন লোকজনকে খুঁজছে নাসা, যাঁরা আবার ইংরেজি ও রাশিয়ান ভাষায় সমান দক্ষ হবেন। তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। (NASA) র তরফেই দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। আরও পড়ুন-সিনেমাপ্রেমীদের জন্য সুখবর, অবতারের সিক্যুয়েল নিয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করলেন প্রযোজক
তবে এখানেই শেষ নয়, নাসার (NASA) এই প্রজেক্টে অংশ নিতে হলে, চিকিৎসা বিদ্যায় পারদর্শী হতে হবে, বিজ্ঞানে এমএসসি থাকতে হবে, পিএইচডি-র মতো ডিগ্রিও চাই। অথবা সঠিক সেনাকর্তার প্রশিক্ষণ। তবে ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকা অংশগ্রহণকারীকেও নাসা অনুমোদন দিতে পারে। তবে তাঁর সেনার প্রশিক্ষণ অথবা পেশাদারি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই আট মাসের আইসোলেশনে অংশগ্রহণকারীর মানসিক সুস্থিতিও পরীক্ষা করে নেবে নাসা। কেননা চন্দ্রাভিযানে বা মঙ্গল অভিযানে (Moon Mission) দিনের পর দিন তাঁদের মহাকাশে থাকতে হবে। পরিবেশের বিভিন্নতা সম্পর্কেও তাঁদের একটা সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে। আরও পড়ুন-গরমকে ছক্কা হাঁকাতে বাজারে এল এসি শার্ট, এক চার্জেই ফুরফুরে ঠান্ডা
উল্লেখ্য, এই আটমাসের আইসোলেশন শুধুমাত্র ক্রু মেম্বারদের মহাকাশ অভিযানের (Moon Mission) জন্য অভিজ্ঞই করবে না। একই সঙ্গে নাসার (NASA) কাছেও একটা ডাটাবেস তৈরি হবে যে মহাকাশে অভিযানকারীকে কী কী ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সমস্যা চিহ্নিত হলে সমাধানের পথও তৈরি হয়ে যাবে সহজেই। এই মহাকাশ অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা নাসার (NASA) তরফে লোভনীয় অঙ্কের বেতনও পাবেন।
কী ধরনের কাজে তিনি যুক্ত হচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করবে বেতনের অঙ্ক। এর আগে ২০১৯-এ চার মাসের একটি গবেষণা চলেছিল। সেখানে ৬ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ২ জন মার্কিন নাগরিক। বাকি চারজনই রাশিয়ান। এই ৬ জনকে একটা ধাতব জায়গায় রাখা হয়েছিল। চারমাস সেখানে থাকার কারণে, ওই জায়গাটিকেই মহাকাশযান (Moon Mission) ভাবতে শুরু করেন ৬ ক্রু মেম্বার।