9 Banned Book: এক অদ্ভুত কারণে বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ এই ৯টি বই
বই, এই শব্দগুচ্ছ যেন অফুরন্ত জ্ঞান ভাণ্ডারের রাস্তা দেখায়। বই হল পরম বন্ধু, যা জীবনের সমস্ত ধরনের পাঠ নীরবে তার পাঠককে দিয়ে চলে। তবে সব বই যে সমান গ্রহণযোগ্যতা পাঠক সমাজের থেকে পাবে, এমনটা নয়। আজকে চলুন এমনই ৯টি বইয়ের কথা বলি, যেগুলি কিছু অদ্ভুত কারণে নিষিদ্ধ (Book Banned) হয়েছে।
“হ্যারিয়েট দি স্পাই”– লুই ফিটসহাগ
এটি একটি ১১ বছরের এক ছোট্ট মেয়ের গল্প যার নাম হ্যারিয়েট। ছোট্টো একটা নোটবইতে সে তার জীবনে দেখা মানুষের সম্বন্ধে বিভিন্ন ধারণা লিখে রাখত। কিন্তু ১৯৮৩ সালে ওহিওর জেনিয়া শহরের এক অভিভাবক ও অভিভাবিকা এই বইটিকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং বলেন এই বইটি মানুষের পিছনে কথা বলতে শেখায় এবং গোয়েন্দাগিরি করা শেখায়।
এই বইটি একটি মেয়ের ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠার গল্প বলে। কিন্তু একজন মেয়ের বেড়ে ওঠা সবসময়ই ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। মেয়েদের অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় যৌন অত্যাচারেরও শিকার হতে হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালে উইসকনসিনের ফন্ড ডু ল্যাক স্কুল এই বইটিকে “যৌন আপত্তিকর ও অনৈতিক” হিসেবে ঘোষণা করে।
“লর্ড অফ দ্য ফাইলস”–উইলিয়াম গোল্ডিং
এই বইতে কয়েকটি ছেলের একসাথে একটি দ্বীপে আটকে পড়ার গল্প আছে। ১৯৮১ সালে উত্তর ক্যারোলিনার ওয়েন হাইস্কুল এই বইটিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই বইতে মানুষকে পশুর মতো আচরণ করতে দেখা গেছে।
“এ লাইট ইন দ্য অ্যাটিক”– শেল সিলভারস্টেইন
এই বইটিতে অনেক মজার কবিতা আছে। কিন্তু বেলয়েট, উইসকনসিনের কিছু অভিভাবক অভিভাবিকারা বলেছেন এই বইয়ের পঞ্চম কবিতায় বাসনপত্র ভেঙে ফেলার কথা বলা আছে এবং তাতে বাচ্চারা প্রভাবিত হতে পারে।
“দ্য ডাইরি অফ এ ইয়ং গার্ল” – অ্যানি ফ্র্যাঙ্ক
২০১০ সালে, কালপেপার কাউন্টি স্কুল এই বইটি নিষিদ্ধ করার আর্জি জানায়, কারণ এক অভিভাবক বলেছিলেন যে এই বইতে মেয়েটির(অ্যানি) যৌন ইচ্ছের কথা প্রকাশ করা হয়েছে।
“শার্লটস ওয়েব”– ইবি হোয়াইট
এই বইটি কানসাস স্কুলের অভিভাবকদের দ্বারা নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। কারণ তাঁরা বলেছিলেন, পশুদের কথা বলা অস্বাভাবিক।
আসল কথা হল, এই বইতে যে n শব্দটি 200 বার ব্যবহার করা হয়েছিল তা ১৯০৫ সালে ব্রুকলিন পাবলিক লাইব্রেরীকে বিচলিত করেছিল। লাইব্রেরি বইটিকে নিষিদ্ধ করেছিল কারণ ‘শুধু চুলকানিই নয়, আঁচড় দিয়েছিল, এবং যখন তার ঘাম বলা উচিত ছিল তখন তিনি মিষ্টি বলেছিলেন।
“হোয়্যার’স ওয়ালডু”– মার্টিন হ্যান্ডফোর্ড
এই বইতে পরিচয় হয় সরল সাধাসিধা এক চশমা পরা ব্যক্তির। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে পূর্ব হম্পটনের স্প্রিংস পাবলিক স্কুল এই বইটির ১৯৮৭ এর সম্পাদনাটি ১৯৯৩ সালে নিষিদ্ধ করে। কারণ এই বইতে চার নম্বর পাতায় অনাবৃত স্নানরত এক ব্যক্তির ছবি আছে।
২০১০ সালে টেক্সাস স্টেট বোর্ড অফ এডুকেশন কর্তৃপক্ষ এই বইটি নিষিদ্ধ করে। কারণ তারা এই বইয়ের লেখকের সঙ্গে অন্য একজন লেখককে গুলিয়ে ফেলেছিল। অন্য আর এক বিল মার্টিন, যাঁর বই “এথিক্যাল মার্ক্সিজম”কে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল টেক্সাস স্টেট বোর্ড অফ এডুকেশন। সেই বিল মার্টিনের সঙ্গে যদিও এই বিল মার্টিন জুনিয়রের কোনও সম্পর্ক নেই।