শরৎ এলেই কানে আসে ঢাকের বাদ্যি৷ দুর্গা মায়ের (Durga Puja ) আগমনী ডাক। ধর্মতত্ত্বের আঙিনা ছাড়িয়ে সেই কতকাল আগেই বঙ্গজীবনের সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে এই দুর্গাপুজো।
ট্যাগ দুর্গাপুজো
Durga Puja: সেকাল বনাম একাল-বঙ্গদেশে দুর্গাপুজোর সাতকাহন
যুগ যুগ ধরে বাঙালি মেতে ওঠে তার প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোয় (Durga Puja)৷ যুগের পরিবর্তন, সময়ের অভাবে পুজোর অনেক বিধি নিয়মে বদল এসেছে।
লাঞ্ছিত “অরণ্যের অধিকার”, লালগড়ের পথে মহাশ্বেতা
“বন্দুক আর বুলেট, সেপাই দলে দলে, অন্য দিকে বিরশা জাগেন জঙ্গলে জঙ্গলে৷” জঙ্গলমহলে মহাশ্বেতা দেবী প্রসঙ্গে আলোচনার শুরুতে কবীর সুমনের গানের এই লাইনটি মনে পড়ে গেল।
দ্বারকানাথের লোলা
শনিবারের এক মদিরাময় সন্ধ্যায় ফরাসি বন্ধু কোঁত-কে সঙ্গে নিয়ে প্রিন্স দ্বারকানাথ এসেছেন প্যারিসের মাবিয়ে গার্ডেনে৷ সন্ধে হতে না হতেই আলো ঝলমলে সেই গার্ডেনে ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছেন ফরাসি সমাজের নানা উচুঁ কেতার মানুষজন৷ বাগানের নানাদিকে সরকারি রক্ষীরাও পাহারায় মজুত৷
ঢাকের বাদ্যি ডাকের সাজ, উমা এল ঘরে…
ঢাকের বাদ্যি, ডাকের সাজ রাঙা পায়ে উমা আসে বাপের বাড়ি। দেখতে দেখতে পুজো এসে গেল। বাঙালির দুর্গাপুজো। বাতি নিভিযে শুয়ে পড়ার সময় সুহসিনীকে বার বার করে ক্ষেমন্তী বলেদিয়েছিলেন তাঁকে যেন ভোরবেলা ডেকে দেয়। টুপ করে গঙ্গাস্নানটা সেরে আসতে হবে, রাত পোহালেই যে মহালয়া, শুদ্ধবস্ত্রে দেবীপক্ষের আগমনি না শুনলে মন যে তাঁর ভরে না। সেই কবে দিনাজপুরের মামা বাড়িতে তাঁর মহালয়া শোনার পাঠ শুরু হয়েছিল তা আর ঠিকমতো মনে পড়ে না। বাপ মা মরা ক্ষেমন্তীকে মেয়ের মতোই মানুষ করেছিলেন মামা সুদেব সরকার। এলাকার সরকারবাবু বলে কথা, গাঁ ঘরে তাঁর দাপট দেখলে চোখ কপালে উঠত। সাত গাঁয়ের লোক মামাকে মানিগণ্যি করত।