আদ্যোপান্ত বাঙালি ছেলে অনির্বাণ। চাকরি সূত্রে সুরাটে থেকেছে প্রায় বছর তিনেক। সেখানেই প্রথম সাক্ষাৎ হয় মেঘনার সঙ্গে। গুজরাটের বাসিন্দা হলেও মেঘনার কাছে কলকাতা তার ভালবাসার শহর হয়ে ওঠে অনির্বাণকে ঘিরে। তবে প্রেমটা জমে উঠলেও চাকরির বদলি বাদ সাধলো দুজনার মাঝে। বর্তমানে প্রেমের বয়স প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। এতদিন পর মেঘনা সেই গুজরাট থেকে পাড়ি দিয়েছে কলকাতার উদ্দেশে। হবু শ্বশুর শ্বাশুড়ির সঙ্গে আলাপটা জমিয়ে নিতে। এদিকে অনির্বাণের মাথায় ভূত চাপলো, সে নিজে মেঘনার পছন্দের খাবার তৈরি করে তাকে চমকে দেবে। মেঘনার খুব পছন্দের খাবার যে আবার ধোকলা। কিন্তু সমস্যা হল এই ধোকলা তৈরি করবে কীভাবে।
তবে সমাধানও ছিল হাতের কাছেই, ফোন করলো মেঘনার মাকে। জামাইয়ের ফোন পেয়ে হবু শাশুড়ি বেজায় খুশি। বিকেলের মধ্যে মেঘনা এসে পড়বে। তাই তার আগে সব তৈরি করতে হবে। হবু শাশুড়ির ধোকলা তৈরির রেসিপি অনির্বাণ চটপট লিখে ফেললো ডাইরির পাতায়। আপনারাও চটপট লিখে রাখুন এই রেসিপি। কারণ খাবার খেতে এবং খাওয়াতে দুটোতেই বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। আরও পড়ুন-শীতের সন্ধ্যায় স্ন্যাক্সের প্লেটে থাকুক ঘরে তৈরি মুচমুচে চিকেন ফ্রাই
উপকরণ-
বেসন ১ কাপ
লবণ পরিমাণ মত
চিনি ২ চামচ
পাতি লেবুর রস ১ চামচ
বেকিং সোডা ১ চামচ
টক দই ২ চামচ
হিং এর গুঁড়ো ১ চামচ
ফোরণ এর জন্য-
কারি পাতা
সাদা তেল তিন চামচ
কালো সর্ষে এক চামচ
গোটা লঙ্কা ৫/৬ টা
প্রণালী-
একটা পাত্রে বেসন-সহ বাকি উপকরণ একসঙ্গে নিয়ে পরিমাণ মতন জল দিয়ে একটা ব্যাটার বানাতে হবে। এবার ব্যাটারটা ঘণ্টা খানেক এর জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর একটা পাত্রে খুব ভাল করে তেল মাখিয়ে ধোকলার ব্যাটারটা ঢেলে দিতে হবে। অন্যদিকে একটি বড় পাত্রে জল গরম করতে দিয়ে তার মধ্যে ধোকলার পাত্রটি বসিয়ে দিতে হবে। এরপর ঢাকা দিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিতে হবে। দশ পনেরো মিনিট পরে একটা চামচ বা কাঠি জাতিও কিছু ওই ধোকলার মধ্যে দিয়ে দেখতে হবে যে তৈরি হয়েছে কিনা। যদি চামচ বা কাঠিটি পরিষ্কার হয়ে বেরিয়ে আসে তাহলে বুঝতে হবে তৈরি হয়ে গেছে।
এবার ফোরণ দেওয়ার জন্য অন্য একটি পাত্রে সাদা তেল গরম করে তাতে কারি পাতা ও কালো সর্ষে দিয়ে হালকা করে ভেজে ধোকলার উপরে ঢেলে দিতে হবে। এবার টুকরো করে কেটে এবার মনের মত ভাবে সাজিয়ে পরিবেশন করলেই চলবে। শাশুড়ির থেকে রান্নার টিপস পেয়ে একবারে উত্তেজনায় টগবগ করছে অনির্বাণ।কারণ পদ্ধতি যে খুবই সহজ। মেঘনার আসার আগেই তৈরি হয়ে গেল তার পছন্দের খাবার। তারপর সাজানো প্লেটটা মেঘনার সামনে আনতেই আকাশে বাতাসে প্রেমের উপস্থিতি টের পাওয়া গেল। প্রেম জমে উঠলো বসন্তের বিকেলে। আরও পড়ুন-ফল খেতে ভাল লাগে না, বানিয়ে নিন ফ্রুট কাস্টার্ড