চুল, আজকের ফার্স্ট লাইফে এনিয়ে সমস্যায় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর বৈকি। ঠিকই ধরেছেন সাজগোজ করে পার্টিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছেন, অথচ দেখছেন চুলটা ম্যাড়মেড়ে। কোনওভাবেই তাকে বাগে আনতে পারছেন না, এতটাই রুক্ষ দশা। মন খারাপ হয়ে গেল, তাই না? না পারছেন সুন্দরভাবে চুল ছেড়ে যেতে, না পারছেন খোঁপা বেঁধে নতুন কোনও স্টাইল স্টেটমেন্টে নিজেকে গুছিয়ে নিতে। মন খারাপ না করে পার্লারে ছুটেছেন, কিন্তু কদিন। যেই না স্পা-র আমেজ কাটল আবার সেই রুক্ষতা। তাই দেরি না করে ঘরোয়া উপায়েই চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করুন। সঙ্গে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে ফিরিয়ে আনুন চুলের স্বাভাবিক জেল্লা। দেখবেন আগামী পার্টিতে আপনিই অনন্যা।
হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে হলে বাজার চলতি কিছু না কিনে সোজা ফলের দোকানে যান। কলা কিনে ফেলুন। পাকা কলা আর মধুর মিশ্রণেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার পছন্দের হেয়ার মাস্ক। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে মিশ্রণটি লাগান। স্ক্যাল্পেও বাদ দেবেন না। এরপর শাওয়ার ক্যাপ পরে মিনিট ৪৫ রেখে দিন। তারপর ভাল করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পাকা কলা ও মধুর সঙ্গে পাকা পেঁপেও দিতে পারেন। এতে চুলের জেল্লা ফেরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভাল হয়। যাঁদের চুল মাত্রাতিরিক্ত শুষ্ক তাঁরা পাকা কলা ভাল করে চটকে নিয়ে তাতে নারকোলের দুধ মেশান। এবার চুল ভিজিয়ে এই মিশ্রণ ভাল করে লাগিয়ে নিয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। এতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং হবেই হবে।
উল্লেখ্য, চুল রুক্ষ হলে যেমন তাকে ম্যানেজ করা যায় না, একইভাবে চুলের জেল্লাদার স্বাস্থ্য বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে হলে পাকা কলা ও মধুর বিকল্প কিছুই নেই। উপরিউক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে রুক্ষতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। সেই সঙ্গে চুল ঝরা, চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যাও কমে আসবে। পার্টিতে যাওয়ার আগে মন দিয়ে চুলকেও সাজাতে পারবেন।