সারমেয়র ভালবাসা নিয়ে তো কোনওরকম সন্দেহের অবকাশ নেই। সারমেয় প্রেম যেমন মারাত্মক, তেমন মানুষের প্রতি সারমেয়র ভালবাসাও অপরিমিত। যত কষ্টই হোক সে তার কাছের মানুষদের রক্ষা করবে। একইভাবে কষ্টটাই বড় কথা নয়, সারমেয়র ধর্মই হচ্ছে অন্যকে সহযোগিতা করা, রক্ষা করা। শত আঘাত সহ্য করেও সারমেয় নিজের ব্রত থেকে সরে আসে না। এমনই ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে। সেখানে রয়েছে ম্যাগি নামের বছর পাঁচেকের একটি মিষ্টি সারমেয়। আজ শুনব তারই যন্ত্রণাদীর্ণ কাহিনী।
ট্যাগ Dog
কাছের মানুষ, সাংবাদিকের পা জড়িয়ে বাড়ি ফেরার আকুতি এই সারমেয়র
আপনজন তো আর সকলে হয় না। শুধু সময়মতো আপনজনদের চিনে নিতে হয়। অবলা প্রাণীরা এই প্রিয়জনকে চিনে নিতে কোনওদিনই ভুল করে না। এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে এক সাংবাদিকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক সারমেয় সামনের দুটি পা উঁচু করে মিনতি করছে ওই সাংবাদিককে। তাকে যেন সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যাম ওই সাংবাদিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও দেখে নেটিজেনদের চোখে জল।
সন্তান স্নেহ, মা হারা বিড়াল ছানাদের লালন করতে ‘বাবা’ সাজল বছর ছয়েকের সারমেয়
সারমেয়র থেকে ভাল পোষ্য আর কিছু হয় না। যাঁরা সারমেয়প্রেমী তাঁরাই এই বিষয়ের সঙ্গে একমত হবেন। কিন্তু বিড়ালকে দেখলেই যে কুকুর তেড়ে যায় এসত্যও কারও অজানা নয়। বাড়ির মধ্যে যদি গুটলি পাকিয়ে বিড়ালকে খুনসুটি করতে দেখেছে তাহলে রাস্তার সারমেয়ও ঘেউ ঘেউ রবে বিরক্তি প্রকাশ করতে ছাড়ে না। সেখানে পোষ্য হলে তো কথাই নেই। কিন্তু এও সত্য ভাল বন্ধু, আশ্রয়দাতা দয়ালু প্রাণের অধিকারি সেই সারমেয়-ই। এজায়গা অন্য কেউ নিতে পারবে না। তাইতো অপছন্দের বিড়ালকেও যত্নে আশ্রয় দিয়ে মা হয়ে ওঠে পোষ্য সারমেয়।