অনেকদিন পর ফের চিঠি লিখতে বসেছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইতিহাস বইয়ের পাতায় পড়েছি। তারপরও যুদ্ধ হয়েছে। কখনও দেশ দখলের লড়াই কখনও ক্ষমতা দখলের লড়াই। দুর্বলের উপরে সবলের অত্যাচার দেখতে দেখতেই শৈশব থেকে পেরিয়েছে কৈশোর। যৌবনেও দেখেছি যুদ্ধ। সন্ত্রাসবাদের কালোছায়া আমাদের সর্বদা ঘিরে রাখে। আতঙ্কের প্রহর গুনি নিশিদিন। এই বোধহয় কেউ ব্যাগভর্তি আইইডি রেখে গেল বাসের সিটের নিচে। বড়সড় মেলায় যেতেও আজকাল বেশ ভয় করে। কী জানি বাবা, যদি বোমায় উড়ে যাই।
ট্যাগ পয়লা বৈশাখ
স্মৃতির সরণি বেয়ে পয়লা বৈশাখ
তোকে ছুঁতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই ঝরে যাচ্ছে বসন্ত। একে কি অকাল বসন্ত বলব? সে যা হোক কিছু একটা ভেবেই নিস। মনের মতো ব্যাখ্যা সাজিয়ে রাখিস তোর বছর পয়লার খেড়োর খাতায়। তবে খেড়োর বাহুল্যে বদল আনিস না যেন। এখন তো তোর আমার মাঝে সম্প্রীতির বেড়াজাল উঠেছে। কালের স্রোতে ভেসে গিয়ে খেড়োর খাতা যেন গৈরিক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখিস। আচ্ছা হালখাতার সঙ্গে তোর চিরকালীন বৈরীতা ঘুঁচলো? নাকি সদরে তালা ঝুলিয়ে তাকে জবাব দিয়েছিস? গাজনের মেলায় গিয়ে ধরম ঠাকুরের থানে কিছু চাইলি কি আমার জন্য ? থাক এসব বলে তোকে আর বিব্রত করব না। আসমানি রঙা পাঞ্জাবিটা পরিস না। ওটায় বড় ন্যাপথেলিনের গন্ধ। সকাল সকাল হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কেতা আমায় দেখাতে হবে না। ওটা তোর শহুরে স্বজনের জন্য তুলে রাখ। পাট ভাঙা পাঞ্জাবি পরে, এক খিলি মিঠে পান মুখে দিয়ে পারলে একটা চিঠি লিখিস। চিঠিটা যেন মিঠেকথাতেই পূর্ণ থাকে। চিন্তা করিস না, চিঠি যদি ভারতীয় ডাক বিভাগের কল্যাণে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে এসেও পৌঁছায়, তাতে ক্ষতি নেই। বৃষ্টি দেখতে দেখতে না হয় তোর বৈশাখী চিঠিখানা খুলে বসব।