সকাল থেকেই মনে যেন বিদায়ের সুর। বুধবার বেলাতেই দশমী তিথি শুরু হয়ে গিয়েছে। বনেদি বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন হয়ে গিয়েছে গতকালই। এবার নজরে বারোয়ারি, এসে গেল বিদায়ের ক্ষণ। এবছরের মতো জগ্ধাত্রীকে বিদায় জানাতে সেজে উঠেছে চন্দননগর। সেখানকার বারোয়ারির প্রতিমার শোভাযাত্রা নজর কাড়া। হেলাপুকুর ধার থেকে শুরু করে আদি মা, তেঁতুল তলা, অম্বিকা, খলিসানি, কলপুকুর ধরা, কলুপুকুর, বাগবাজার। কাকে ছেড়ে কার কথা বলি। প্রত্যেক বারোয়ারির তরফেই লরি ভাড়া করে তার উপরে প্রতিমা তোলা হয়। এরপর চলে সাজগোজ। জগদ্ধাত্রীকে দেখতে তখন কাতারে কাতারে লোক নেমেছে চন্দননগরের রাস্তায়। জমকালো বিদায়বেলা নাহলে কী মানায়? এই আনন্দের অবসরেই যেন নিরঞ্জনের দুঃখ লুকিয়ে আগামী বছরের জন্য দিন গুনতে শুরু করে চন্দননগর।
ট্যাগ জগদ্ধাত্রী পুজোর লাইটিং
‘আলো নিয়ে চন্দননগর আজ যা ভাবছে, গোটা দেশ তা ভাববে আগামী বছর’
রাত পোহালেই নবমী তিথি, ইতিমধ্যেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় জমজমাট চন্দননগর। প্রতিমা থেকে মণ্ডপ সবেতেই কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে তানিয়ে চলছে সুস্থ প্রতিযোগিতা। আর এর মাঝেই নিজেদের স্বকীয়তা প্রমাণে শৈল্পিক স্বাক্ষর রাখছেন চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা। সারা বছর ধরে একটু একটু করে ভাবনাকে পুঞ্জীভূত করেন, আর পুজো এলেই তাইই আলোক মালায় ফুটিয়ে তোলেন। আগে টুনিতে হাতেকলমে কাজ করতে অনেক সময় যেত। খরচও হত প্রচুর। এখন এলইডি সেই খরচকে কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেদিনের চ্যালেঞ্জটাই যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। চন্দননগরের প্রসিদ্ধ আলোশিল্পী সুজিত মাজী, Bongmag.com-এ একান্ত আলাপচারিতায় শোনালেন নিজের কথা।