করোনা রাজত্বে বিশ্বের মৃত্যুমিছিল যেখানে অব্যাহত সেখানে চিনে নতুন ভাইরাসের সন্ধান মিলল। এর নাম ল্যাংআ হেনিপাভাইরাস (Langya henipavirus )। এই ভাইরাসের কবলে পড়লে হতে পারে জ্বর। সাধারণত পশুর থেকে ল্যাংআ হেনিপাভাইরাস ভাইরাস ছড়ায়। চিনে ২০১৯-এ প্রথম এই ভাইরাসের খবর মেলে। এবছর চিনের হেবেই প্রদেশে ৩৫ জনের দেহে ল্যাংআ হেনিপাভাইরাসের (Langya henipavirus) জীবাণু মিলেছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা আমরা সবাই দেখেছি। দেখতে দেখতে দুটো বছর কেটে গেলেও করোনার থাবা থেকে এখনও মুক্ত হয়নি বিশ্ব। ভারতেও সংক্রমণের গ্রাফ নিত্য বেড়ে চলেছে। মৃত্যুর হার কমলেও একেবারে শূন্য নয়। এরমধ্যে আবার নরোভাইরাস শিশুদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। আতঙ্কের রেশকে সঙ্গে নিয়েই যখন মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেছে, তখন এসে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। বিশ্বে মাঙ্কিপক্স থাবা বসাতে না বসাতেই ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মৃত্যুও হয়েছে একজনের। সরকারি বিধি নিষেধও বলাবৎ হয়েছে।
ল্যাংআ হেনিপাভাইরাস (Langya henipavirus) কী?
ল্যাংআ ভাইরাস হেনিপাভাইরাসেরই (Langya henipavirus) একটি প্রজাতি। তবে নিপা ও হেন্দ্রা ভাইরাস থেকে এটি অনেকটাই আলাদা। নিপা ভাইরাস ১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এবং হেন্দ্রা ভাইরাস ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম দেখা যায়। ২০১৮-এ শ্যানডং ও হেনান শহরে এই ভাইরাসটির প্রকোপ নতুন করে শুরু হয়।
World Tuberculosis Day 2022: প্রতি লক্ষে আক্রান্ত ১৮৭ জন, বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে সচেতন হোন
কী কী জানা দরকার?
ল্যাংআ হেনিপাভাইরাসের (Langya henipavirus) লক্ষণ হল জ্বর, কাশী, ক্লান্তি, খিদে না থাকা, গা হাত পায়ে ব্যাথা এমনকি হতে পারে নিউমোনিয়াও। এছাড়া গা গোলানো, বমি হওয়া, এবং শ্বাসের সমস্যাও হতে পারে।
সংক্রমণ:
এই ল্যাংআ হেনিপাভাইরাসটি (Langya henipavirus) পশুর মাধ্যমে মানুষের দেহে ছড়ায়। হু জানিয়েছে এটি একটি আরেএনএ ভাইরাস। এই ভাইরাসটি পশুর মাধ্যমে মানুষের দেহে ছড়ায়, তবে মানুষ থেকে আরেক মানুষের মধ্যে ছড়ায় কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
Menstrual Pain Relief: পিরিয়ডের ব্যথা? ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়
মারণ ক্ষমতা:
এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তদের কারোরই মৃত্যু হয়নি। এদিকে US Centres for Disease Control and Prevention – এর তথ্যানুসারে ল্যাংআ হেনিপাভাইরাসের (Langya henipavirus) সমসাময়িক নিপা ও হেন্দ্রা ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা ৪০ -৭০ শতাংশ। সমসাময়িক গবেষণা ও সাম্প্রতিককালে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, এই ল্যাংআ হেনিপাভাইরাস অনেক দিন আগে দক্ষিণ চিনে পাওয়া মোজিয়াং ভাইরাসের মতো। তাইওয়ান ডিজিস কন্ট্রোল সেন্টার জানিয়েছে, এই নয়া ল্যাংআ হেনিপাভাইরাসের মারণ ও সংক্রমণ ক্ষমতা কতটা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।