মাঝে মাত্র কটিদিন, তারপরেই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-২ শ্রীহরিকোটা দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড থেকই শুরু হবে চাঁদ যাত্রা শুভ সূচনা। চন্দ্রযান-১ সেই কবে চাঁদে জলের উপস্থিতি বুঝতে পেরেছিল। এবার ফের চাঁদের মাটিতে নেমে বড়রকমের যুগান্তকারী গবেষণা সম্পূর্ণ করতে চাইছেন ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। আরে সফল তো হতেই হবে। চাঁদের জমিতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার না করলে পরবর্তীতে বাঁচবেন কীকরে। শোনা যাচ্ছে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে চাঁদে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে। সেখানেই হবে কর্মসংস্থান।
আজ যখন রাজ্যে কর্মসংস্থান হয়নি বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যের সরকারকে গাল পাড়ছেন, রাত পোহালেই মোদি সরকারকে ঠিক একই ইস্যুতে খোঁচা দিতে তৈরি হয়ে রয়েছেন, তখন তো এতথ্য আপনার কাছে থাকতেই হবে। নাহলে যুক্তি সাজাবেন কোথা থেকে মশাই। মন দিয়ে শুনুন গুহ্য খবর, চাঁদে রয়েছে হিলিয়াম মৌল। তার শক্তির প্রসার মারাত্মক। সেই মেটাবে জ্বালানির খরচ।
হু হু করে শিল্পোৎপাদন হবে। কয়লা পুড়িয়ে আর শক্তির জোগান দিতে হবে না। প্রাকৃতিক গ্যাস লাগবে না, জীবাশ্ম পুড়িয়েও শক্তির চাহিদা মেটানোর দরকার নেই। চাঁদে মানবসভ্যতার দ্বিতীয় কলোনি তৈরি হওয়ার সমস্ত উপকরণই মজুত রয়েছে। শুধু দেখেশুনে একটু গুছিয়ে নিতে হবে। পৃথিবীত পাঁচ হাজার কয়লা পুড়িয়ে যে শক্তি পাওয়া যায় চাঁদে তা পেতে পোড়াতে হবে মাত্র ৮০ গ্রাম মৌল।
এখনও পর্যন্ত চাঁদে যা হিলিয়াম মৌল রয়েছে তাদিয়ে পৃথিবীতে অন্তত ১০ হাজার বছর চলে যাবে। এই হিলিয়ম মৌল অত্যন্ত দামি সূর্যের বায়ুমণ্ডল থেকেই এই হিলিয়াম আইসোটোপ চাঁদে আসে। পৃথিবীতে আসতে পারে না কেননা পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডল আছে, তা ভেদ করে এই হিলিয়াম মৌলের কণা এখানে পৌঁছাতে পারে না। অন্যদিকে চাঁদের নিজস্ব কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। তাইতো সূর্যের বায়ুমণ্ডল থেকে হিলিয়াম মৌলের কণা ছিটকে এসে পড়ে চাঁদের ভূপৃষ্ঠে। সেখানকার ধূলিকণায় মিশে অবিকৃতই থাকে। তাইতো অবিকৃত থেকে যাওয়া এই বিশেষ আইসোটোপ মৌলের কোনও ক্ষতি হয়নি। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই হিলিয়াম মৌলকে কাজে লাগিয়েই চাঁদে শিল্প গড়বেন, তৈরি হবে শহর। টাকা জমাতে শুরু করুন চাঁদে জমি কিনবেন না?