গরু, একটা সময় এই শব্দটা কানে এলেই মনে হত কেউ ঠাট্টা করছে। বন্ধুদের মধ্যে একটু সাদাসিধে কেউ থাকলেই তাকে আড়ালে অথবা সামনা সামনি ‘বলদ’ বলতে কেউ সময় নষ্ট করত না। কিছু না পারলেই ‘গরু কোথাকার’ বলে তিরস্কার সহ্য করেছেন এমন মানুষজন কম নেই। আর শৈশবে স্কুলে গরুর রচনা লেখার বিষয়টি তো মিথের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল, এখন সেই গরুই কিনা প্রধান উপজীব্য। দুধ দেওয়ার বদলে গরু এখন ফুটবল খেলে বেড়াচ্ছে।
শুধু খেলছেই না, ছেলের দলকে বলের ধারে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না। বল কি করে পায়ে রেখে গোলের দিকে স্বচ্ছন্দে এগিয়ে যেতে হয়, তা যেন গরুকে দেখেই শিখতে হবে। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে কাটিয়ে সোজা ধাঁ করে বলকে গোলপোস্ট পার করে দিতে না পারলে শান্তি নেই। একবার গোলে বল জড়ালেই কেল্লাফতে। বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা বেশি বেগড়াবই করলে ঈশ্বরপ্রদত্ত শিং নিয়ে তেড়ে গেলেই সমস্যার সমাধান একেবারে হাতের মুঠোয়। মজার বিষয় হলে এই কাজটিই দক্ষতার সঙ্গে করে পাড়ার মাঠের মধ্যমণি হয়ে উঠল গরু। ছেলের দল কিছুক্ষণ বলটা কেড়ে নিতে পারলেও নিজগুনে ফের বলের দখল নেয় গরু। তারপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা, গরুর এহেন ক্ষিপ্রতায় মুগ্ধ বাকিরা মাঠ ছেড়ে দিল। একাই দাপিয়ে বলকে নিয়ন্ত্রণে রাখল সে। হ্যাঁ গরুই খেলল ফুটবল, শুনলে গল্পের গরুকে গাছে তুলে দেওয়ার কথা মনে হতে পারে। কিন্তু ভিডিও দেখলে নিশ্চই বিশ্বাস হবে।
This is the funniest thing you will see today! pic.twitter.com/Kfz08Dka3Z
— Harsha Bhogle (@bhogleharsha) July 1, 2019
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ার কাছে একটি জায়গায়। বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছিল ছেলের দল, বল পায়ে পায়ে ঘুরতেই তাড়া খেয়াল করে মাঝমাঠে চলে এসেছে গরু। ভয়ে কিছুটা জায়গা ছেড়ে দিতেই স্বমূর্তি ধারণ করে গরু। বাকিটা নাহয় ভিডিওতেই দেখে নিন।