Shankha Ghosh

“সবার পিছে, সবার নিচে, সব-হারাদের মাঝে”

ইমানুল হক “মুণ্ডমালায় ওই হেঁটে যায় দশ বছরের দেনা বুড়ি শুধু ডাকে ও বাপু ছেলেরা কেউ কিছু বলবে না?” এত ‘দশক’-এর শুধু নয়, শতাব্দীর কথা। শঙ্খ ঘোষ কবেই লিখে গেছেন এই কবিতা৷ জানেন, আমার জানা এক প্রবীণা আছেন, যাঁর ঘুম হচ্ছে না, কারণ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ভয়ঙ্কর স্মৃতি মুছে ফেলার বিরুদ্ধে কেউ কিছু তেমন বলছে না, […]

Lola Mantez Image

দ্বারকানাথের লোলা

শনিবারের এক মদিরাময় সন্ধ্যায় ফরাসি বন্ধু কোঁত-কে সঙ্গে নিয়ে প্রিন্স দ্বারকানাথ এসেছেন প্যারিসের মাবিয়ে গার্ডেনে৷ সন্ধে হতে না হতেই আলো ঝলমলে সেই গার্ডেনে ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছেন ফরাসি সমাজের নানা উচুঁ কেতার মানুষজন৷ বাগানের নানাদিকে সরকারি রক্ষীরাও পাহারায় মজুত৷ 

Attar

কস্তুরী আতর

“যাঃ! কি যে করো না তুমি,”  বলেই লজ্জায় রাঙা সালমা ফিরদৌসের থেকে আর একটু দূরে সরে গেল। তখনও ফিরদৌসের হাতে সালমার ওড়নার একপ্রান্ত ধরা আছে।

Buddhadeb Guha

অন্য ‘বিন্যাস’-এর লেখক বুদ্ধদেব গুহ

ইমানুল হক ‘বিন্যাস’ আপনার শ্রেষ্ঠ লেখা। বাংলা সাহিত্যের ২০টি উপন্যাসের একটা। “– তুমি বলছ! সবাই ‘মাধুকরী’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’ ‘কোয়েলের কাছে’-র কথা বলে৷” ওগুলো ভাল, খুবই ভাল। কিন্তু আপনার ‘বিন্যাস’, সমরেশ বসুর ‘উত্তরঙ্গ’ বাংলা সাহিত্যের বিরল উপন্যাস। সে তো সবাই সমরেশ বসু নিয়ে আলোচনা হলেই ‘প্রজাপতি’, ‘বিবর’, ‘দেখি নাই ফিরে’, ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’–এই সব বলে। ‘উত্তরঙ্গ’ […]

Ghungroo

ঘুঙরু বাঈ

ও দেবেশ’দা কিছু শুনতে পাচ্ছেন? ভয়ার্ত কণ্ঠে বলে উঠল রমেন। দেবেশ একটু কান খাড়া করে শব্দটা শোনার চেষ্টা করে। ঠিক তো, কম্বলের মধ্যে থেকেও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। কেউ যেন নাচের তালে তালে ঘুঙুর পরা পা ফেলছে। দেবেশ বিছানা ছেড়ে উঠে মোমবাতিটা জ্বালায়। ব্যাস সব চুপচাপ কোনও শব্দ নেই।

নর রাক্ষস

ভানু মাটির বারান্দায় পা ছড়িয়ে বসে ছিল। তার মা এক বাটি মুড়ি সামনে রেখে বলল খেয়ে নে, আমি নাইতে যাচ্ছি। ভানু বাটিটা তুলে নেয় হাতে। একমুঠো মুড়ি মুখে তোলে। ছ্যা ছ্যা এসব খাওয়া যায়? বলেই থুঃ থুঃ করে মুখ থেকে ফেলে দেয় মুড়ি গুলো। হঠাৎ ভানুর চোখ পড়ে বারান্দার কোণে ঝুলিয়ে রাখা খাঁচাটার দিকে।

bongmag.com

স্রোতের গন্ধ

মনসুর প্রতিদিনের মত আজও দুপুর থেকে ছিপটা ফেলে বসে আছে। আসার পর একটা ছোট সাইজের মহাশোল উঠেছিল। তারপর সব চুপচাপ। সূর্যের আলো আবছা হয়ে এসেছে। এক্ষুনি ঝুপ করে অন্ধকার নেমে পড়বে।

Valentines Day

ক্যানভাসে বৃষ্টির রাত, প্রহর জাগে ১৪ ফেব্রুয়ারি

একটা আদা চা, রঘু দা। মাথাটা খাটো করে ঝুপড়ির দোকানে মুখটা দেখিয়েই চটপট বাড়ির দিকে এগোতে থাকে নীলু। ঠান্ডা একেবারে পাঁজরের হাড় কটাকেও কাঁপিয়ে দিল। ছাতাটা সঙ্গে ছিল তাই মাথাটুকু বেঁচেছে। সে যাইহোক এখন গায়ে একটু গরম জল ঢেলে যতক্ষণ না বসছে ততক্ষণ শান্তি নেই। অন্ধকারেই কোনওরকমে হাঁচরপাঁচর করে চাবিখানা খুঁজে পেল। মান্ধাতার আমলের বাংলো, কত যে তার তালা। সবকটা খুলতে গেলে হাত ব্যথা হয়ে যাবে। ভাগ্যে রঘুদা ছিল, তাই নিয়ম করে বাড়ির যত্ন আত্তি হয়। স্নানে যাওয়ার আগে গিজারটা চালিয়ে দিল নীলু। ঘড়ির কাঁটা সাতটা ছুঁই ছুঁই, এই পাহাড় জঙ্গলের দেশে মনে হচ্ছে গভীর রাত।