সারমেয়কে পোষ্য হিসেবে পেতে চায় না এমন পশুপ্রেমিক মানুষজন খুব একটা দেখা যায় না। আসলে কুকুরের ভালবাসার ধরনটাই একেবারে ভিন্ন। আপনি তাকে একটু যত্ন করুন হোক না সে রাস্তার কুকুর তবুও দেখবেন ভালবেসে আপনার সামনে এসেই লেজ নাড়াচ্ছে। আর পোষ্য হলে তো কথাই নেই। সারমেয়র প্রভুভক্তির বিবিধ নিদর্শন রয়েছে। কিন্তু তাই বলে ঈশ্বর ভক্তি, হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, ঈশ্বর নিবেদিত প্রাণ এমন সারমেয়র দেখা মিলল এই দেশেই। মহারাষ্ট্রের পুণেতে। সেখানে একটি মন্দিরে কীর্তনীয়াদের সঙ্গে নিজের ভাষায় ধর্মীয় সংগীত গাইছে সারমেয়টি। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া পড়েছে।
জানা গিয়েছে ওই মন্দিরটিতে প্রতি বৃহস্পতিবার বসে কীর্তনের আসর। দূর দূর থেকে কীর্তনীয়ারা এসে মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহের সামনেই নাম সংকীর্তন করে যান। ভক্ত সমাগম নেহাত কম হয় না। সবাই মোটামুটি সারমেয়র কীর্তি প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রথমদিকে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে একটু ইতস্তত ভাব ছিল, দেবালয়ে কুকুরের প্রবেশ মেনে নিতে পারছিলেন না অনেকেই। তবে আস্তে আস্তে বিষয়টি গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। যখন দেখা গেল মানুষের থেকে ওই সারমেয়র ঈশ্বর ভক্তি কোনও অংশেই কম নয়। সে নিয়ম করে প্রতি বৃহস্পতিবার মন্দিরে আসে। তারপর বিগ্রহের সামনে কীর্তনীয়াদের নামগান শুরু হলে সারমেয় নিজে থেকেই তাতে যোগ দেয়। একেবারে নিজের ভাষায় ঈশ্বরের কাছে ভক্তিভাব নিবেদন করে। তারপর নাম সংকীর্তন মিটলে অন্যদের মতোই প্রসাদ খেয়ে নিজের আস্তানায় ফিরে যায়।
This devout little dog belongs to my friend’s factory. Every Thursday evening, without fail, he walks over to the temple next door and joins the keertan. Then he has his share of prasad and trots back home. Every single Thursday! 🙂 pic.twitter.com/HiuluOJdiy
— sushma date (@sushmadate) April 11, 2019
সারমেয়টির সময়জ্ঞানও দারুণ ঠিক, বৃহস্পতিবার কীর্তন শুরুর কিছুক্ষণ আগেই সে মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছে যাবে। দিন, সময় কোনওটিরই এদিক ওদিক হয় না। লাগোয়া এলাকার একটি কারখানাতেই তার আস্তানা। সেই কারখানা মালিক কিছুদিন সারমেয়র গতিবিধি লক্ষ্য করে বিষয়টি জানতে পারেন, এক বন্ধুকেও জানান। ওই মহিলাই একদিন সারমেয়র পিছু পিছু মন্দিরে পৌঁছালে গোটা ঘটনাটি সচক্ষে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। তবে ভিডিও করতে ভোলেননি। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই ভাইরাল। নেটিজেনরা সারমেয়র এমন ঈশ্বর ভক্তি দেখে বেজায় খুশি।