চকলেট কিনতে কেনা পছন্দ করে, আর খেতে সেই প্রসঙ্গ এখন আলোচনার মধ্যে নাই বা থাকল। তবুও বলব চকলেট চকলেটই। তবে যত ধনী ব্যক্তিই হন না কেন, লাক লাক টাকার চকলেট আর কজন কেনেন। আপনি দেখেননি, মানে সেরকম ঘটনা ঘটেনি, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। সবকিছু উল্টে পাল্টে দিয়েই জামিরা হাজিয়েভা নামের এক মহিলা ২৬লক্ষ টাকার চকলেট কিনে ফেলেছেন।
ওই মহিলা আজারবাইজানের বাসিন্দা। ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অফ আজারবাইজানের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর স্বামী জাহাঙ্গির হাজিয়েভা। সেখানেই বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এখন কারাবাসের সাজা খাটছেন। সেই জেল খাটা আসামীর বউ কিনা ২৬ লক্ষ টাকার চকলেট কিনে ফেললেন ১০ বছরে। টাকার অঙ্ক শুনে বিচারকের অবস্থা তখন শোচনীয়। ব্যাংক আধিাকারিকের স্ত্রী এখন লন্ডনেই থাকেন। সেখানে ২০০৬- ২০১৬ এই ১০ বছরে ২৬ লক্ষ টাকার চকলেট কিনে ফেলেছেন তিনি। এত টাকার চকলেট তিনি খেয়েছেন নাকি দানছত্র করেছেন তার কোনও হিসেব পায়নি তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকার চকলেট কিনেছেন একটি বেলজিয়ান চকলেটের দোকান থেকে। একইভাবে দশ বছরে ১৮০ কোটি টাকার গয়না ও পোশাক কিনেছেন। মজার বিষয় হল, তিনি তো কোনও রাজা বা মন্ত্রীর স্ত্রী নন, তিনি ব্যাংকের কর্তার স্ত্রী, সেই ব্যক্তি আবার আর্থিক তছরূপের অভিযোগে জেল খাটছেন। আর ইত্যবসরে তাঁরই স্ত্রী কি না চকলেট খেয়ে সাড়ে ছাব্বিশ লক্ষ টাকা উড়িয়ে দিলেন। সঙ্গে গয়না ও পোশাক কিনতে প্রায় দুশো কোটি টাকা খরচ করেছেন।
একজন অপরাধীর স্ত্রী কী করে এত টাকা তাঁর বিলাসবহুল জীবন বজায় রাখতে পেলেন তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই খরচের বাহুল্য দেখের লন্ডনের ওই আদালত জামিরা হাজিয়েভা নামের ওই মহিলাকে পত্রপাঠ আজারবাইজানে ফেরত পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছে। খুব শিগির তাঁকে লন্ডন ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।