আলো আঁধারিতে ছেয়ে আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশাল হলঘর৷ ঘরের একেবারে মাঝখানে রাখা বড় গোল টেবিল ঘিরে বসে আছেন আটজন। প্রত্যেকেই বয়েসের ভারে ন্যুব্জ। তারমধ্যে একজন আপাদমস্তক চাদরে ঢেকে বসে আছেন। দ্বিতীয় জনের উন্মুক্ত দেহে শুধুই উত্তরীয় সম্বল। তৃতীয় জনের পরণে সাফারি স্যুট। চতুর্থ জন পরে আছেন দক্ষিণ ভারতীয় ধাঁচে সাদা লুঙ্গি, ফতুয়া৷ বাম কাঁধে শোভা পাচ্ছে উত্তরীয়৷ মৃদু আলোয় যেখানে সবাই ঠিকভাবে দৃশ্যমান নন, সেখানেই কিনা কালো চশমায় চোখ ঢেকেছেন পঞ্চম জন৷ পরণে ফুলহাতা কালো শার্টের সঙ্গে চাপা ট্রাউজারে অদ্ভুত লাগছে তাঁকে।
ট্যাগ Bengali Story
ঋতুর বিপরীতে
তৃণাঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য্য সাদার্ন অ্যাভিনিউ রাস্তাটা বরাবর ভীষণ প্রিয় কাবেরীর| এমনি দিনের থেকে মেঘলা দিনে এই রাস্তার রূপটা যেন আলাদাই হয়ে ওঠে কিছুটা| অনেকটা দার্জিলিঙের ঘুমের মতো| এমনি দিনে সাধারণ একটা পাহাড়ি স্টেশন| কিন্তু মেঘলা দিনে যেন মেঘের বাড়ি হয়ে যায় পাহাড় কন্যা ঘুম| আদরের সাদার্ন অ্যাভিনিউ যেন ঠিক তেমন| একদম বালিশ ভেজা কান্নার মতো| চিৎকার […]
ঘুঙরু বাঈ
ও দেবেশ’দা কিছু শুনতে পাচ্ছেন? ভয়ার্ত কণ্ঠে বলে উঠল রমেন। দেবেশ একটু কান খাড়া করে শব্দটা শোনার চেষ্টা করে। ঠিক তো, কম্বলের মধ্যে থেকেও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। কেউ যেন নাচের তালে তালে ঘুঙুর পরা পা ফেলছে। দেবেশ বিছানা ছেড়ে উঠে মোমবাতিটা জ্বালায়। ব্যাস সব চুপচাপ কোনও শব্দ নেই।
স্রোতের গন্ধ
মনসুর প্রতিদিনের মত আজও দুপুর থেকে ছিপটা ফেলে বসে আছে। আসার পর একটা ছোট সাইজের মহাশোল উঠেছিল। তারপর সব চুপচাপ। সূর্যের আলো আবছা হয়ে এসেছে। এক্ষুনি ঝুপ করে অন্ধকার নেমে পড়বে।