শুধু হুগলি নয়, বাংলার ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য নাম হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) ইস্পাহানি। আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাঁকে ১৮ শতকের সেরা বাঙালি সন্তানদের অন্যতম বলেছিলেন। বিরাট ভূ সম্পত্তির মালিক হয়েও নির্দ্বিধায় তা জনশিক্ষা জনস্বাস্থ্য খাতে উৎসর্গ করেছিলেন। ১৭৩২ সালে হুগলিতেই তাঁর জন্ম হয়। বাবা হাজি ফয়জুল্লা, মা জায়নাব খানম ছাড়াও মহসীনের (Haji Muhammad Mohsin) পরিবারে ছিলেন দিদি মন্নুজান খানম। দিদির সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল মহসিনের। আগা সিরাজি নামের এক পণ্ডিত তথা পরিব্রাজকের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর মুর্শিদাবাদে গিয়ে, ইসলামিক শিক্ষা, দর্শনে জ্ঞানঅর্জন করেন মহসীন।
Haji Muhammad Mohsin: পরিব্রাজক মহসীন
শিক্ষালাভের পর হুগলিতে ফিরে জানতে পারেন পরিবারের লোকজনই বিপুল সম্পত্তি দখলের জন্য মন্নুজানকে বিষ খাইয়ে মারতে চাইছে। দিদিকে সতর্ক করার পর মির্জা সালাউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের বন্দোবস্ত করেন মহসিন। এই মির্জা সালাউদ্দিন ছিলেন তৎকালীন হুগলির ফৌজদার ও নবাব আলিবর্দি খাঁর বিশেষ স্নেহভাজন। দিদির জীবনের সুবন্দোবস্ত করে ৩২ বছর বয়সে দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন তিনি। দিল্লি আগ্রা ঘুরে কাবুল হয়ে চলে যান মক্কায়। সেখানে হজ পালন করে মদিনায় চলে আসেন হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) ।
২৭ বছর বিদেশে কাটিয়ে মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) হুগলিতে ফিরে দিদির সঙ্গে জমিদারি দেখাশোনা শুরু করলেন। এর ৩ বছরের মাথায় মন্নুজান খানমের প্রয়াণে সম্পত্তির মালিক হলেন ৭৩ বছরের মহসীন। ১৮০৬ সাল নাগাদ তিনি ট্রাস্ট গঠন করে সমস্ত সম্পত্তি হুগলির মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতে দান করেন। বলা হয় ইংরেজ সরকারের রাজস্ব মেটানোর পর যা থাকবে তাদিয়ে দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষা, দরিদ্রদের খাদ্য সংস্থান এবং বাকি টাকায় ট্রাস্টের খরচ ও দুই ট্রাস্টির বেতন চলবে।
Haji Muhammad Mohsin: দানবীর মহসীন
১ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকার বার্ষিক টার্ন ওভারে ট্রাস্টের কাজ ভালোই চলছিল। ৮০ বছর বয়সে ১৮১২ সালের ২৯ নভেম্বর এই মহান প্রাণের জীবনাবসান হয়। কয়েক বছরের মধ্যেই ট্রাস্টের টাকা তছরূপের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তৎকালীন ইংরেজ গভর্নর চার্লস মেটকাফ গোটা বিষয়টি কড়া হাতে সামলান। মেটকাফের তত্ত্বাবধানেই হাজি মহম্মদ মহসীনের (Haji Muhammad Mohsin) ইচ্ছে পূরণ শুরু হয়।
১৮৩৬ সালে ট্রাস্টের টাকায় তৈরি হয় হুগলির মহসীন কলেজ। বাংলার নবজাগরণে যে কলেজের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। হুগলির সদর হাসপাতাল, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক-সহ হুগলির মানুষের পর্যটন, পানীয়জলের বন্দোবস্তও হয় মহসীনের (Haji Muhammad Mohsin) ট্রাস্টের অনুদানে।
এদিকে মেটকাফের কড়া নিয়ন্ত্রণে তখন ট্রাস্টের হাল ধরছেন মোতোয়ালি সৈয়দ কেরামত আলি। তাঁর তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় আজকের ইমামবাড়া। ৪২ বিঘা জমির উপরে এই ইমামবাড়া তৈরিতে সময় লেগেছিল ১৬ বছর। ১৮৬১ সালে ইমামবাড়া তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়। এর আগেই লন্ডনের ব্ল্যাক অ্যান্ড মারে কোম্পানির নির্মিত জোড়া ডায়ালের ফার্সি হরফ যুক্ত ঘড়িটি তৈরি করিয়ে নিয়ে আসেন কেরামত আলি।
শোনা যায়, লন্ডনের বিগবেনের থেকেও বয়স্ক এই ইমামবাড়ার ঘড়ি। সেই সময় এই ঘড়ির দাম পড়েছিল ১১ হাজার ৭২১ টাকা। ঘড়িটিতে ৩০, ৪০ ও ৮০ মণের তিনখানা ঘণ্টা রয়েছে। ৩০ ও ৪০ মনের ঘণ্টাদুটি প্রতি ১৫মিনিট অন্তর বাজে। আর ৮০ মনের ঘণ্টাটি বাজে এক ঘণ্টা অন্তর। ১০ কেজি ওজনের চাবি দিয়ে ঘড়িটিকে দম দিতে দুজন সুঠাম মানুষের আধঘণ্টা সময় লেগে যায়।
Haji Muhammad Mohsin: ইমামবাড়া
ইমামবাড়া মানে ইমামের বাড়ি। প্রবেশ দ্বার দিয়ে ঢুকেই দুপাশে রয়েছে তাজিয়াখানা ও সরবৎ খানা। মূলত মহরমের জুলুসে এখানে লোকসমাগম হয় তখন এই তাজিয়া বেরোয়। আর অতিথি আপ্যায়ণে তৈরি হয় সরবৎ। প্রবেশ পথের মুখোমুখি জারি দালান হল প্রার্থনাকক্ষ। ডান ও বামদিকে অবিকল দুটি দালান রয়েছে। একসময় এর একদিকে ছাত্রাবাস ও মাদ্রাসা ছিল। অন্যদিকে অতিথিশালা ও ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল চলত।
ইমামবাড়ার পূর্ব দিকের বাগানে গঙ্গার কাছেই রয়েছে সূর্যঘড়ি। সিমেন্টের বেদিতে থাকা এই ঘড়িতে ছিল পিতলের ডায়াল। পরে তা চুরি হয়ে যায়। যে ওয়াকফ ডিড বা তৌলিয়ত নামার মাধ্যমে যাবতীয় সম্পত্তি দান করেছিলেন হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) । সেটি ইমামবাড়ার পূর্ব দিকের দেওয়ালে ইংরেজি ও ফার্সিতে লেখা আছে।
পড়ন্ত বিকেলে তৌলিয়তনামাকে একা রেখে আলো তখন জরি দালানে। ঠিকরে পড়া বর্ণময়তায় রঙীন স্বপ্ন বুনছে বেলজিয়াম কাচ। শীতের কুয়াশা মেখে আঁধার নামছে জুবিলি ব্রিজে। একদা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হুগলী নদীর উপরে এই সেতু তৈরির জন্য মহসীনের থেকেই জমি কিনেছিল। ইমামবাড়ার অদূরে এখানে চিরঘুমে শায়িত আছেন ইরানি বণিক পুত্র হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) ইস্পাহানি। কালের নিয়মে সমাজ সংস্কারক, দানশীল মহসীন আজ জনমনে বিস্মৃত হলেও হুগলীবাসীর কাছে তিনিই পরমপ্রাপ্তি।
এত অল্প কথায় কখনও হাসি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) ইস্পাহানিকে বাঁধা সম্ভব নয়। তাঁর কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি অনেক। এখানে তাঁর দু একটা গুণ আলোচনা হল মাত্র। দিল্লিতে তখন মুঘল সাম্রাজ্য, সম্রাট আওরঙ্গজেবে মসনদে রয়েছেন। সে সময় যতজন জাট মনসবদার ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্তত ১৩০ জন ইরানি বণিক।
ইরান, পারস্যের বণিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঔরঙ্গজেবের এক দারুণ সখ্যতা ছিল। সেসময়ই ইরানের ইস্পাহান থেকে দিল্লিতে আসেন আগা মহম্মদ মোতাহার। নিজের কর্মদক্ষতায় খুব শিগগির তিনি সম্রাটের নজর কেড়ে। আওরঙ্গজেব আগা মোতাহারকে দিল্লিতেই জায়গীর দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন। আরও পড়ুন-Hanseswari Temple: ইতিকথায় হংসেশ্বরী মন্দির ও রাজা নৃসিংহদেব
এদিকে শিয়া আগা মোতাহারের স্ত্রী চাইতেন মহরমে মাতম হোক। কিন্তু সু্ন্নি মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী দিল্লিতে সেই সময় তা সম্ভবপর ছিল না। তাই আগা মোতাহার নিজে থেকেই সম্রাটের কাছ থেকে বাংলার জায়গীর চেয়ে নেন। হুগলি, চিৎপুর ও যশোরের জায়গীর ও বিরাট ভূ সম্পত্তি তাঁকে দান করলেন সম্রাট আওরঙ্গজেব। এরপর আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর আগা মোতাহার হুগলিতে চলে আসেন। এখন যেখানে ইমামবাড়া তার কাছেই বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে নিজের বাণিজ্য গুছিয়ে নেওয়া শুরু হয়।
খুব অল্পদিনের মধ্যেই বিরাট ধনী সম্পন্ন বণিক হিসেবে হুগলি অঞ্চলে আগা মোতাহারের নাম ছড়িয়ে পড়ে। আনো বিবি নামের এক ধনী মহিলার থেকে একটি একটি করে বেস কয়েকটি বাড়ি কেনেন তিনি। সেখানে একটা ইমামবাড়াও ছিল। তার মালিকানা কিনে রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করেন আগা মোতাহার। মনে করা হয় ওই ইমামবাড়া আনো বিবিরই তৈরি। তবে এই মত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, তৎকালীন ইমামবাড়াটি তৈরি করেছিলেন বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ। তবে এই তথ্যের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
বিরাট সম্পত্তির অধীশ্বর আগা মোতাহারের মাত্র এক কন্যা সন্তান। তাঁর তৃতীয় স্ত্রী জয়নাম খানমের মেয়ে মরিয়ম খানম। সেই মেয়ের গলায় একদিন সোনার মাদুলি পরিয়ে দিলেন আগা মোতাহার। একই সঙ্গে বাড়ির সবাইকে সতর্ক করে বললেন যতদিন তিনি জীবিত আছেন, কেউ যেন সেই মাদুলি না খোলে। এদিকে ইস্পাহান থেকে ইরানি বণিকরা মুর্শিদাবাদে এলেন। সেই বণিক পরিবারের ছেলে হাজি ফয়জুল্লা ভাগ্যের সন্ধানে চলে এলেন হুগলিতে। তাঁর বৈষয়িক জ্ঞানে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে ম্যানেজার করে সুরাটে পাঠিয়ে দিলেন আগা মোতাহার। মরিয়মের তখন সাত বছর বয়স। আরও পড়ুন-Susanna anna maria varkark: চুঁচুড়ার ওলন্দাজ ইতিহাসের স্মারক সুস্যানা আন্না মারিয়ার ভারকার্কের সমাধি
আচমকাই একদিন মারা গেলেন আগা মোতাহার। এরপর শিশু মরিয়মের গলার তাবিজ খুলে দেখা গেল বিরাট সম্পত্তি মেয়েকেই দিয়ে গিয়েছেন আগা মোতাহার। এদিকে মালিকেরমৃত্যুর খবর পেয়েই কয়েক মাসের মধ্যে সুরাট থেকে হুগলিতে ফেরেন হাজি ফয়জুল্লা। বিরাট সম্পত্তির মালিক একরত্তি মেয়ে। এদিকে মা জয়নাব খানম যাতে এমন কাউকে বিয়ে করে সমস্ত সম্পত্তি হাতছাড়া না করে ফেলেন তাই তড়িঘড়ি তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেন হাজি ফয়জুল্লা। বিয়ের পর ১৭৩২ সালে জন্ম হয় মহসীনের (Haji Muhammad Mohsin) ।
সৎ দিদি মরিয়ম বা মন্নুজান খানমের সঙ্গে ভাই মহসীনের (Haji Muhammad Mohsin) দারুণ সম্পর্ক ছিল। দুটিতে যেন হরিহর আত্মা। একই সঙ্গে পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা। দিদি যখন নাচ গান শিখেছে, ঠিক সেই সময়ই মল্লযুদ্ধে পারদর্শী হয়ে উঠেছে মহসীন। তাইতো ২৭ বছর আরব, পারস্য, মিশর, ইরান ঘুরে হুগলিতে দিদির কাছেই ফিরেছেন আদরের ভাই হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) । বহু অনুনয়বিনয় করেও আউধের নবাব তাঁকে ধরে রাখতে পারেননি।
এদিকে মন্নুজান খানমের থেকে পাওয়া সম্পত্তি হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) যে শুধু জনকল্যাণে দান করেছেন তাই নয়। তিনি অকাতরে গরীব দুঃখীদের অর্থ বিলিয়েছেন। চোর তাঁর বাড়িতে চুরি করতে এলে নিজেই পুঁটলি গুছিয়ে দিয়েছেন। যাতে বাড়ির সবাই জেগে গেলে সম্মান রক্ষার্থে চোরকে খালি হাতে ফিরতে না হয়। শোনা যায় এলাকাবাসীর দূরবস্থা নিজের চোখে দেখতে ছদ্মবেশে নগর পরিভ্রমণে বেরোতেন হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) । এমনই একদিনে একটি কুঁড়ে ঘরে উঁকি দিয়ে দেখেন মা উনুনে হাঁড়ি চাপিয়ে রান্না করছেন, বাচ্চার কিদের জ্বালায় কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে। খাবার আর হয় না।
মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) দরজার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বহুক্ষণ ধরে সেই দৃশ্য দেখলেন। কৌতূহল চাপতে না পেরে প্রকাশ্যে এসে সেই অভাগিনী মাকে প্রশ্ন করে জানতে পারলেন, হাঁড়িতে পাথর ও জল একসঙ্গে চাপিয়ে তিনি উনুনে বসিয়েছিলেন। বাচ্চারা খাবার খাওয়ার আশায় হাঁড়ির দিকে তাকিয়েই এক সময় কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়বে। তখন উনুন নিভিয়ে দেবেন মা। একথা শুনে হাজি মহম্মদ মহসীনের চোখে জল চলে আসে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘুমন্ত বাচ্চা ও তাদের মায়ের খাবারের বন্দোবস্ত করেন। এবং একই সঙ্গে এই অনাহারের সমস্যা মেটাতে ওই পরিবারটির জন্য মাসোহারার ব্যবস্থা করে দেন। আরও পড়ুন-Bansberia: চলুন যাই দেখে আসি, বাঁশবেড়িয়ার ৩৪১ বছরের অনন্ত বাসুদেব মন্দির
ক্যালিগ্রাফিতে পারদর্শী হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) ফার্সী ও আর্বীতে কোরান লিখতেন। সেই সময় এমন কোরান শরীফের মূল্য ছিল হাজার টাকা। কেউ অর্থের আশায় তাঁর বাড়িতে এলে হাজি মহম্মদ মহসীন ইস্পাহানি তাঁকে একখানি কোরান শরীফ ধরিয়ে দিতেন। মহসীনের (Haji Muhammad Mohsin) হাতের লেখা কোরান শরীফের একটি কপি রয়েছে ইমামবাড়াতে।
এমনই একটি কপি হুগলির মহসীন কলেজের লাইব্রেরিতেও রয়েছে। আজ যখন সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগর রামমোহন আলোচিত হন, তখন তাঁদের জন্মেরও আগের এই মহান প্রাণ হাজি মহম্মদ মহসীন জনকল্যাণে, জনশিক্ষায় যে বিরাট ভূমিকা নিয়েছেন তাতে তিনি কেন আলোচিত হবেন না?
তবে দুঃখের বিষয়, প্রতিবেশী বাংলাদেশেও হাজি মহম্মদ মহসীন যতটা সমাদৃত এ রাজ্যে তার ছিটেফোটাও নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মহসীনের (Haji Muhammad Mohsin) নামে হল। খুলনাতে রয়েছে ইমামবাড়া। চট্টগ্রামেও তিনি পেয়েছেন সম্মান। বাংলাদেশের নৌবাহিনীর নামকরণ হয়েছে হাজি মহম্মদ মহসীনের নামেই খুলনা থেকে কলকাতা পর্যন্ত যে রেললাইন তার ৬৩ মাইল জমির মালিক হাজি মহম্মদ মহসীন (Haji Muhammad Mohsin) ইস্পাহানি। যদিও এই বরেণ্যে মানবকে বঙ্গবাসী আর তেমনভাবে স্মরণ করল না।