জেনারেশন নেক্সট সারাদিন ইন্টারনেট আর কম্পিউটারে মুখ গুঁজে থাকে। টিভির পর্দা সামনে পেলে শুধুমাত্র কার্টুন দেখেই সময় কাটিয়ে দেয়। এই অভিযোগ যে একেবারে ভিত্তিহীন, তা মোটেই নয়। বরং সবদিক থেকে সত্যি। সে যাইহোক গে ব্যতিক্রমী শব্দবন্ধটি যতক্ষণ অভিধানে আছে, ততক্ষণ তার বাস্তবতাও বর্তমান। এতো আর অস্বীকার করা যায় না, উপায়ও নেই। প্রায়শই দেখতে পাবেন বাবা-মা নিজেদের সন্তানের কর্মকাণ্ড নিয়ে আক্ষেপ করছেন। সেই বাবা-মা প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের হতে পারেন। হতে পারেন শিক্ষক শিক্ষিকা, নামী ইঞ্জিনিয়র, ব্যবসায়ী বা অন্য কোনও পেশার। তবে অনুযোগটা মোটের উপরে একই।
Category: অফবিট
Different type of stories which are not similar with our regular daily news
হাত ঘড়িতেই লিপ ইয়ার দেখুন, এমনটাও হয় জানেন কি?
আজ এক আশ্চর্য ঘড়ির কথা বলব, যে ঘড়ি কোনওরকম চাবি ছাড়াই চলে। এটুকু শোনার পর নিশ্চই বলবেন, এতে তো আশ্চর্যের কিছু নেই। এখন চাবি ছাড়া সব ঘড়িই চলে। এবার বলি ঘড়ির জীবনপঞ্জি, এই আশ্চর্য ঘড়ির আবিষ্কার হয়েছিল ১৮৩৯ সালে। হ্যাঁ ঠিক শুনছেন, সেই সময় চাবি ছাড়া ঘড়ি ভাবাই যেত না। সেখানে ঘড়ির জগতে যুগান্তকারী ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন অ্যান্টোইন নরবার্ট ডি প্যাটেক ও ফ্যাঙ্কোয়িস জ্যাপেক। তৈরি করলেন প্যাটেক জ্যাপেক অ্যান্ড সিএ নামের এক ঘড়ি প্রস্তুতকার সংস্থা। এরপর ১৮৪৪ সাল চাবি ছাড়া ঘুড়ছে ঘড়ির কাঁটা। আবিষ্কার করে ফেললেন জিন অ্যাড্রিন ফিলিপ নামের এক ব্যক্তি। প্যারিসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপোজিশনে নিজের কর্মদক্ষতা প্রমাণ করে জিতে নিলেন ব্রোঞ্জ মেডেল।
বিশ্বের প্রথম! মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন চালু হল এই দেশে
ঋতুমতি হওয়াটাও মহিলাদের কাছে যেন অভিশাপের মতো। শুধু তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভারতে এই সমস্যা, এমনটা ভাববেন না। প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশ ইউরোপেও পিরিয়ডের সময় প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন জোগাড় করা মহিলাদের কাছে দুঃসহ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এটা কোনও অতীতের গল্প বলছি না, একেবারে বর্তমান। যে দেশের মহিলারা মহাকাশে দিন কাটিয়ে এসেছেন, আর সেদেশের মহিলারাই স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে পারছেন না। আসলে সব স্তরের মহিলাদের সাধ্যের মধ্যে নেই স্যানিটারি ন্যাপকিন।
দোকান থেকে হাত সাফাইয়ের অভিযোগে মালিক, জেল হল কুকুর ছানার?
প্রিয় পোষ্য সবসময় প্রভুর জীবন হয়। তাইতো তাঁর অসময়েও সঙ্গ ছাড়ে না। আজ এমনই একজনের কথা বলব। ভদ্রলোকের নাম উইলসন, তাঁকে ভদ্রলোক আদৌ বলা যায় কি না তা বিবেচনার বিষয়। সে যাইহোক প্রিয় পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন উইলসন। তিনি মার্কিন মুলুকের ফ্লোরিডার বাসিন্দা। পথে চলতে চলতেই রাস্তার পাশের এক ঝলমলে দোকানে ঢুকে পড়েন। দোকানটির নাম বাস প্রো শপস। বেশকিছুক্ষণ পর আউটলেটটি থেকে বেরিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। এবার ফেরার পালা। বাড়ির দিকেই হাঁটছিলেন উইলসন। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়েন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গিয়ে ধরে দুই পুলিশকর্মী। শুধু তাঁকে একা নয়, সঙ্গের পোষ্যটিকেও থানায় টেনে নিয়ে যায়।
মারণ টিউমার বাদ দিতে মাথায় চলেছে জটিল অস্ত্রোপচার, অপারেশন টেবিলে বেহালা বাজাচ্ছেন রোগিণী
সুরের মূর্চ্ছনায় যিনি একবার নিজেকে বেঁধে ফেলেছেন, তাঁর পক্ষে সুর ছাড়া সবকিছুই অর্থহীন। সে বাঁশিবাদকই হোন বা বেহালাবাদক। সুরহীন পৃথিবীতে তাঁকে রাখা মানে মেরে ফেলার শামিল। কোনও সুরেলা কণ্ঠী যেমন একদিন যদি জানতে পারেন, ভাগ্য তাঁর গলা থেকে গান কেড়েছে তবে সে যন্ত্রণা আর কিছুতেই নেই। তবুও মিরাক্যাল ঘটে। তাইতো আশারা পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। এমন ঘটনা ঘটেছে লন্ডনে, বছর ৫৩-র ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট ডাগমার টার্নার দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হলেন। মাথা তাঁর আর ঠিকমতো কাজ করছে না। একদিন কিংস কলেজের হাসপাতালে গিয়ে নিউরো বিভাগে নাম লেখালেন। মাথায় তাঁর কি হয়েছে জানতে হবে। সেই ১০ বছর বয়স থেকে বেহালা বাজাচ্ছেন, এখন চেষ্টা করেও সুর তুলতে পারছেন না।
প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে ইঞ্জিনিয়রের চমক, জায়গা ছেড়ে উঠছে সেতু(দেখুন ভিডিও)
ফাল্গুন মাস মনে গুনগুনের সূচনা করে। পলাশ ফুটলেও কেমন যেন প্রেম পায়। তার উপরে সরস্বতীপুজো ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-ও শেষ। সামনে দোল, রাঙিয়ে দিয়ে যাওয়ার পালা আসছে আসছে করছে। এমন সময় যদি প্রপোজটা করেই ফেলেন, তবে আসছে বৈশাখে বিয়েটা হয়েই যাবে। আর উৎসাহ বেশি থাকলে এই ফাগুনেই চারহাত এক করতে তো কোনও পুরোহিতের দরকার পড়ছে না। টুক করে ম্যারেজ রেজিস্টারের কাছে চলে গেলেই হবে। যাকগে পুরোহিত বা ঘটক কোনও ভূমিকাতেই থাকছি না। তবে প্রেমে আছি, চাইলে নেমন্তন্ন বাড়িতে গিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি বর-কনের সঙ্গে সেলফি তুলতেও একপায়ে খাড়া। কিন্তু ওই যে বললাম, প্রেমটা কিন্তু হওয়া চাই। তবে বিয়ের আগে হয়ে গেলেই ভাল। কথায় আছে না ‘কাল কিসিনে দেখা।’
চিবানো চুইং গামে ছবি আঁকছেন বেন, লন্ডনের রাস্তায় ভিড় করে দেখছে মানুষ(দেখুন ভিডিও)
সৃজনী এক সুপ্ত ভালবাসা, কখন যে কার মধ্যে সে জেগে উঠে নিজের নিদর্শন রাখতে শুরু করবে তা আগে থেকে কল্পনা করা সম্ভব নয়। তবুও মননশীল মানুষের অন্তরেই সে আদরণীয়। সেই মননশীলতা সমাজের যে কোনও স্তর থেকেই আসতে পারে। কোনওভাবেই সৃজনীকে ধনীর খেয়াল বলে চালাতে পারবেন না। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মালেও হয়তো সুযোগ সুবিধা বেশি আসে। কিন্তু কুঁড়েঘরেও চাঁদের আলো প্রবেশ করে। শুধু তাকে লালন করতে জানতে হয়। শিল্প যত লালিত পালিত হবে, শৈল্পিক সত্ত্বার বিকাশ ততই মননশীল হবে। ১৬ বছর ধরে তেমনই কাজ করে চলেছেন বেন উইলসন।
“রোগ তো শরীরের হয়েছে, আমি আনন্দে আছি”
১৯৯৬ সালে ক্লাস এইট, তখন থেকে নবনীতা দেবসেনের লেখার সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়। তাঁর কবিতার বই ‘প্রথম প্রত্যয়’-এর কিছুটা পড়া। সেই ‘প্রথম প্রত্যয়’ ২০১৭-তে ৫০বছর ছুঁয়ে ফেলল। পড়ার তালিকায় খুব কম প্রচলিত একাঙ্ক নাটকও রয়েছে। সাহিত্যের একক অঙ্গনে নবনীতাকে বর্ণনা করা যায় না। তাঁর একহাত ধরে আছে বাল্মীকির রামায়ণ আর অন্যহাতে সংবাদ প্রতিদিনের রোববার। এই বিস্তৃতিকে মাপতে গেলে তাঁকে জানতে হবে। ভাল-বাসার বারান্দায় নবনীতার মতো সাবলীল ছন্দ সাহিত্যপ্রেমী বাঙালির পরম পাওয়া বলতে পারেন। নবনীতা যেন লক্ষবুটির বেনারসি। নিপুণ বুনটের সঙ্গে এক নরম উজ্জ্বলতা, যা পাঠককে ঋদ্ধ করবে, আলোকিত করবে, সূক্ষ ভাবনার কদর করতে শেখাবে। চোখে ধাঁধা লাগাবে না। Bongmag.com-এর জন্য সেই নবনীতা দেবসেনকে নিয়ে কলম ধরলেন তাঁর পরম ভক্ত পিনাকী গুহ।
একটা বৃষ্টি দিন ও ভাল-বাসার নবনীতা
এই এক ছত্র যে কবে থেকে আমার মননকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নিয়েছে, মনে পড়ে না। শান্তিনিকেতন আমার আবাল্য সখা। জন্ম থেকেই আপাত শান্ত গ্রাম্য জনপদ যেন পিছু টানে। আসলে লাল মাটির দেশে জন্ম তো, গুরুদেব যে শুধু আদর্শগত নয়, জন্মগত ভাবেই আমার আত্মজন, অভিভাবক। তাইতো পুতুলবাটি নিয়ে খেলার সময়েই বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয়। আর রবির দেশেই নবনীতা দেবসেনের লেখনির সঙ্গে আমার পরিচয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কোনও জোড়ালো নারীবাদের পরিচয় না দিয়েও যিনি মহিলাদের স্বতন্ত্র উপস্থিতির নজির রাখতে পারেন, তিনিই নবনীতা দেবসেন। কি সহজ সুন্দর শব্দ চয়ন, কোনও দ্বিধা ছাড়াই যেন একই সঙ্গে স্কলারের পড়ার টেবিল থেকে আঁচলে হলুদের দাগ লেগে থাকা গৃহিনীর বইয়ের তাকে স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেন। প্রিয় কবি সাহিত্যিকদের ঘিরে অনুরাগী পাঠককুলের একটা ভিড় সবসময় চোখে পড়ে। কিন্তু নবনীতা দেবসেনের পাঠকগুলো যেন তাঁর স্বজন, তাইতো বাড়ির বাইরে পা দিয়ে তিনি কোথাও বেড়াতে যাবেন, দেখবেন বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একটা ভিড় তাঁকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে।
রাজকীয় সঙ্গীর ছবিতে ছেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, নেটিজেনদের ভিড়ে টালমাটাল ওয়েবসাইট, এই মেয়েকে চেনেন নাকি?
থাইল্যান্ডের রাজবাড়ি নিয়ে সেখানাকার মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। মহাভাজিরা লঙ্গ কর্ণ হলেন থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা। তাঁর রাজকীয় সঙ্গী নির্বাচিত হয়েছেন সেদেশের সামরিক বাহিনীর একজন মেজর। তবে তিনি মহিলা তাঁকে সেনানার্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর নাম ওঙ্গ ভাজিরা পাকদি। তিনি সব কাজেই সমান দক্ষ, ৩৪ বছরের তন্বী সেনানার্ট যেমন রাজার নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি রেখেছেন। তেমনই রণক্ষেত্রে সমান দক্ষতায় যুদ্ধ করে যান। ৬৭ বছরের জন্মদিনে রাজা নিজে সেনানার্টকে রাজকীয় সঙ্গী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।